• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শেরপুরে এখনও তলিয়ে ৬ হাজার হেক্টর জমির ফসল


শেরপুর প্রতিনিধি এপ্রিল ২৬, ২০১৭, ১১:১০ এএম
শেরপুরে এখনও তলিয়ে ৬ হাজার হেক্টর জমির ফসল

শেরপুর: জেলার ঝিনাইগাতি ও নালিতাবাড়ি উপজেলার পাহাড়ি ঢলের পানি নেমে গেলেও এখনো তলিয়ে আছে ৬ হাজার হেক্টর জমির ফসল।

স্থানীয়রা জানান, বৃষ্টি কিংবা ঢল না এলে বেশকিছু এলাকার পানি আগামী ৭ দিনের মধ্যে নেমে যাবে। তবে অনেক নিম্নাঞ্চলের পানি নামতে প্রায় ১ মাস লেগে যেতে পারে। ফলে ফসল হারানোর ভয়ে কাঁচা ধান কেটে বাড়ি ফিরছেন কৃষকরা।

ভয়াবহ এই ক্ষতির মুখে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা। এদিকে চূড়ান্ত ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

গত শুক্রবার রাত থেকে শুরু হয়ে শনিবার বিকাল পর্যন্ত অবিরাম বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মহারশী ও সোমেশ্বরী নদীর পানির স্রোতে দু’কূল উপচে ঝিনাইগাতী সদর, ধানশাইল, কাংশা, নলকুড়া, গৌরীপুরসহ ৭টি ও নালিতাবাড়ীর রাজনগর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।

পানির তোড়ে এলাকার রাস্তাঘাট, কালভার্ট, কাঁচা-পাকা বাড়িঘরসহ বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

অন্যদিকে বেড়িবাঁধ সংস্কার না করায় শেরপুর-নালিতাবাড়ী সড়কের সন্নাসীভিটা বাজারে গাছের গুঁড়ি ও বাঁশ ফেলে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় কৃষকরা।

স্থানীয়রা জানায়, গত দুই দিনের অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ঢলের পানির তোড়ে রাস্তা-ঘাট, ভেঙে গেছে। মহারশি নদীর রামেরকুড়া এলাকার পুরনো ভাঙা অংশ দিয়ে ঢলের পানি প্রবেশ করে ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদ চত্বর, কোর্ট বিল্ডিং, সাব-রেজিস্টি অফিস, পোস্ট অফিস চত্বর ও সদর বাজার বন্যার পানি প্রবেশ করে। কলস নদীর বুরুডুবি ভাঙা অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করে মালিঝিকান্দা ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা পানিবন্দী বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে বলেন, এবার ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। কালবৈশাখী ঝড় ও পাহাড়ি ঢলে অধিকাংশ জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এছাড়া বহু মানুষ এখন পানিবন্দী রয়েছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কোরবান আলী বলেন, বোরো ধানের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপনে কাজ চলছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!