• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শেষ মুহূর্তে বগুড়ায় জমে উঠেছে পশুর হাট


নাহিদ আল মালেক, বগুড়া আগস্ট ২০, ২০১৮, ০৩:০২ পিএম
শেষ মুহূর্তে বগুড়ায় জমে উঠেছে পশুর হাট

ছবি: সোনালীনিউজ

বগুড়া : বুধবার পবিত্র ঈদুল আজহা। মাঝে দুই দিন বাকি। তাই পছন্দের পশু কেনাকে কেন্দ্র করে বগুড়ায় শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। জেলার ৭৫টি গরুর পশুর হাটে গত বছরের তুলনায় এ বছরে বিদেশি গরু-ছাগল আমদানি হলেও দেশি গরু-ছাগলের চাহিদা সবচেয়ে বেশি ছিল। বেশির ভাগ ক্রেতা কিনছেন দেশি গরু-মহিষ ও ভেড়া-ছাগল। ফলে আশানুরূপ মূল্যে থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন গরু ব্যবসায়ী ও খামাররা। দুর-দুরান্ত থেকে ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগমে জমে উঠছে পশুর হাটগুলো।

শনিবার গাবতলীর উপজেলার কাগইল করুণা কান্ত উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পশুর হাটে ব্যাপক বেচা কেনা হয়েছে। পছন্দ মতো ক্রয়-বিক্রয় করেছে সবাই। মাঝারি গরু’র দামটা একটু বেশি হলেও ছাগলের দাম ছিল তুলনামূলকভাবে কম। ফলে দাম কম হলেও ব্যবসায়ীসহ খামারিরা বিক্রি করেছে পশুদের। এতে করে কিছুটা হলেও ব্যবসায়ীদের লাভ কম হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গরু ব্যবসায়ীরা।

তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, কোন ধরনের রশিদ ছাড়াই হাটগুলো থেকে সরকার নির্ধারিত টোলের অতিরিক্ত হাসিল আদায় করা হচ্ছে। এবার বগুড়ায় গরুর জন্য হাসিল (স্থানীয় ভাষায় ছাপ বলা হয়) নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০ টাকা আর ছাগলের ক্ষেত্রে তা ৮০ টাকা। কিন্তু হাটগুলোতে তার কয়েকগুণ বেশি আদায় করা হচ্ছে। শুধু ক্রেতাদের কাছ থেকেই নয় হাসিল আদায় করা হচ্ছে বিক্রেতাদের কাছ থেকেও। এ নিয়ে অবশ্য প্রশাসনের কোন তৎপরতা চোখে পড়েনি।

কালিতলা হাটে একটি গরুর জন্য ইজারাদাররা ক্রেতাদের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা এবং খাসি প্রতি ৫০০ টাকা হাসিল আদায় করেছেন। এ ছাড়া বিক্রেতাদের কাছ থেকে গরুর জন্য ১০০ টাকা এবং সমান সংখ্যক অর্থ নেওয়া হচ্ছে খাসির জন্যও।  

জেলার শেরপুর উপজেলার বারদুয়ারী পশুর হাট, ছোনকা হাট, শাহজাহানপুর উপজেলার সুলতানগঞ্জ হাট ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের রশিদ দেয়া হলেও তাতে টোল আদায়ের টাকার পরিমাণ উল্লেখ নেই। রয়েছে শুধু পশুর ক্রয় বিক্রয়ের দাম। ক্রেতারা জানান, বাধ্য হয়ে গরু প্রতি ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা টোল দিতে হচ্ছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!