• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

শেষ মুহূর্তে মার্সেল পণ্য কেনার ধুম


বিশেষ প্রতিনিধি জুলাই ৪, ২০১৬, ০৪:৪৬ পিএম
শেষ মুহূর্তে মার্সেল পণ্য কেনার ধুম

মাহে রমজান প্রায় শেষ। সামনে ঈদ। পড়েছে ঈদের কেনাকাটার ধুম। এর মধ্যে ভিড় বেড়েছে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের শোরুমগুলোতে। এ অবস্থায় ব্যাপক বিক্রি বেড়েছে দেশীয় ব্র্যান্ড মার্সেল পণ্যের। বিশেষ করে মার্সেলের ফ্রিজ, ডিপ ফ্রিজ, এলইডি টিভি, এসি এবং হোম অ্যাপ্লায়েন্সের বিক্রি বেড়েছে আশাতীত। এছাড়া শেষ মুহূর্তের চাহিদা পূরণে প্রস্তুত রয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
 
কর্তৃপক্ষের দাবি, মার্সেল পণ্যের প্রতি ক্রেতাদের আস্থা বেড়েছে বহুলাংশে। এর কারণ হিসেবে তারা বলছেন, সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে বাংলাদেশেই তৈরি হচ্ছে মার্সেল পণ্য। ফলে তা মূল্য সাশ্রয়ী। ক্রেতাদের সামর্থ বুঝে রয়েছে বিভিন্ন দামের পণ্য। সব পণ্যেই মিলছে বিক্রয়োত্তর সেবা। আর সারা দেশেই ছড়িয়ে আছে মার্সেলের সার্ভিস পয়েন্ট।  

জানা গেছে, গতবারের তুলনায় এবারের রমজান মাসে প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি পণ্য বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল মার্সেল। কিন্তু রমজান শেষ হওয়ার আগেই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। গতবারের চেয়ে প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি পণ্য বিক্রি হয়েছে মার্সেলের। এছাড়া গত মে মাসের তুলনায় চলতি জুন মাসে ১৫০ শতাংশ বেশি ফ্রিজ বিক্রি হয়েছে। এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে ইনটেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ।

মার্সেলের কর্মকর্তারা জানান, দেশের বাজারে খুব দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তাদের পণ্য। এবার রোজা এবং ঈদ উপলক্ষে গ্রাহকদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। ঈদের আগে ক্রেতারা ভিড় করছেন সারা দেশের মার্সেল শোরুমগুলোতে। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে মার্সেলের ইনটেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির রেফ্রিজারেটর। সেইসঙ্গে ফ্রিজার বা ডিপ ফ্রিজের চাহিদার চাপও বেশি।
 
ঈদে বিনোদনের প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠে টেলিভিশন। এবার বিশ্বমানের এলইডি টিভি সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি করছে মার্সেল। গত বছরের রোজার তুলনায় এবার প্রায় দ্বিগুণ এলইডি টিভি বিক্রি হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে মার্সেল বাজারে ছেড়েছে নতুন মডেলের ২৪ ইঞ্চি, ২৮ ইঞ্চি ও ৩২ ইঞ্চির এলইডি টেলিভিশন এবং ২.৮ লিটার এবং ৩.২ লিটারের নতুন মডেলের দুটি রাইস কুকার। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সের বিক্রি বেড়েছে উল্লেখযোগ্য। ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে নতুন নতুন মডেলের ফ্রিজ, টেলিভিশন, হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সেস বাজারে ছেড়েছে মার্সেল। পাশাপাশি এসি, ব্লেন্ডার, জুসার, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ইন্ডাকশন কুকার, গ্যাস স্টোভ, রিচার্জেবল ফ্যান, টেবিল ও সিলিং ফ্যান, এলইডি লাইট, বাল্ব, সুইচ-সকেটসহ ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সেসও ভালো বিক্রি হচ্ছে।
 
মার্সেলের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা (উত্তর) মোশারফ হোসেন রাজীব বলেন, ‘মার্সেল পণ্য কিনলে বিক্রয়োত্তর সেবা নেয়ার খুব একটা প্রয়োজন পড়ে না; মিস্ত্রির কাছে যেতে হয় না। এছাড়াও, উৎপাদনে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, বিশ্বমান বজায় রাখা, সাশ্রয়ী মূল্য, সহজ কিস্তি সুবিধা, আইএসও স্ট্যান্ডার্ডে দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা, দেশব্যাপী বিস্তৃত সেলস ও সার্ভিস নেটওয়ার্ক এবং সর্বোপরি স্থানীয় আবহাওয়া উপযোগী করে দেশেই তৈরি হয় বিধায় মার্সেল পণ্য এখন গ্রাহক পছন্দের শীর্ষে।’
 
মার্সেলের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা (দক্ষিণ) শামীম আল মামুন বলেন, ‘ঈদে পণ্য বিক্রির যে লক্ষ্যমাত্রা ছিলো মার্সেল এরইমধ্যে তা অতিক্রম করে ফেলেছে। চাহিদা অনুযায়ী কারখানায় পণ্য উৎপাদনের পাশাপাশি সরবরাহ ও বিক্রয় কার্যক্রম জোরদার করার ফলেই এই সফলতা এসেছে।’ তিনি বলেন, ‘শেষ মুহূর্তের চাহিদা মোকাবেলার জন্য পর্যাপ্ত পণ্য মজুদ রয়েছে।’


সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি/আকন

Wordbridge School
Link copied!