• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
আজ ফাইনাল

শেষ হাসি কার, বাংলাদেশ না ভারতের?


ক্রীড়া প্রতিবেদক মার্চ ১৮, ২০১৮, ১১:৪৫ এএম
শেষ হাসি কার, বাংলাদেশ না ভারতের?

ঢাকা : ফাইনাল। এই নামটির সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রিকেট দল কমবেশি ভালোই পরিচিত। বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট না হোক, ত্রিদেশীয় সিরিজের এমন ফাইনালে বাংলাদেশ আগেও খেলেছে। তাও গুনে গুনে চারবার। দুইবার প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, একবার করে ভারত ও পাকিস্তান। প্রতিপক্ষ বদলালেও ভাগ্য বদলায়নি। কখনোই জেতা হয়নি ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল, চুমু আঁকা হয়নি আরাধ্যের ট্রফিতে।

আগের চার ফাইনালেই স্বপ্নভঙ্গ, বেদনা-হতাশার ইতিহাস। নিঃশ্বাস দূরত্বে থাকা শিরোপা উঁচিয়ে উল্লাস করেছে প্রতিপক্ষ শিবির, টাইগার শিবির তা শুধু চেয়ে চেয়েই দেখেছে। কাকতালীয় হলেও সত্য, সেই চার ফাইনালেরই ভেন্যু ছিল মিরপুর। এবার ভেন্যু ভিন্ন, কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম। নিদাহাস টুর্নামেন্টের ফাইনালে আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হবে ফাইনালের মহারণ, বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ যেখানে ভারত। পঞ্চমবারের ফাইনালে ভাগ্য বদলাবে বাংলাদেশের?

নিদাহাস টুর্নামেন্টে শুরুতে বাংলাদেশের যাত্রা ছিল আন্ডারডগ হিসেবে। ফেবারিট তত্ত্বে এগিয়ে ছিল স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা ও ভারত। তবে সময়ের তালে পাল্টে গেছে সমীকরণ। শিরোপা লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কা নয়, ভারতকে লড়তে হবে বাংলাদেশের সঙ্গে। বাংলাদেশের লক্ষ্য ফাইনাল, টুর্নামেন্টের আগে ভুলেও এমন প্রত্যাশা কারো মুখ থেকে শোনা যায়নি। তবে ম্যাচ বাই ম্যাচ ভালো ক্রিকেট খেলার প্রত্যয় ছিল টাইগার শিবিরে। তারই ধারাবাহিকতায় ফাইনালে ওঠা, চ্যাম্পিয়নের স্বপ্ন দেখা।

ফরম্যাটটি টি-টোয়েন্টি বলেই ছিল বাড়তি শঙ্কা। না জেতার অভ্যাস, সঙ্গে ছিল লঙ্কানদের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা। সব মিলিয়ে শ্রীলঙ্কার মাটিতে বাংলাদেশ ফাইনাল খেলবে, তা ছিল চরম বিস্ময়ের ব্যাপার। তবে সেই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দাপুটে দুটি জয়ই ফাইনালে জায়গা করে দেয় বাংলাদেশকে। যদিও লিগ পর্বে ভারতের বিরুদ্ধে দুটি ম্যাচেই হারের লজ্জা পেয়েছে টাইগার শিবির। ফাইনাল ম্যাচটি সে অর্থে বাংলাদেশের নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর মিশন।

শিরোপা জিততে হলে পাড়ি দিতে হবে বন্ধুর পথ। ভাঙতে হবে পরিসংখ্যানের শিকল, ছিঁড়তে হবে জয়ের বন্ধ্যত্ব। কারণ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এই ভারতের বিরুদ্ধে জয়ের কোনো রেকর্ড নেই বাংলাদেশের (সাত ম্যাচের সবকটিতেই হার)। তবে সেরাটা দিতে পারলে হতে পারে স্বপ্ন পূরণ। লঙ্কানদের বিরুদ্ধে পাওয়া দুটি জয়ই টাইগারদের প্রেরণা। টিম স্পিরিট বাড়াতে আছেন সাকিব আল হাসান।

ভারতের বিরুদ্ধে জয় পেতে কী করতে হবে, সে পরিকল্পনা আঁটবে টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে দূর থেকেই সাকিবদের জয়ের ফরমুলা বাতলে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে হয় রোহিত আর ধাওয়ান- এই দুই উইকেট যদি দ্রুত নিতে পারি তাহলে ম্যাচটা আমাদের হাতে থাকবে। এই দুজনই বলতে পারেন নিয়মিত টি-টোয়েন্টি খেলে। তাদের দ্রুত আউট করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’

ভারতের দিনেশ কার্তিক বাংলাদেশকে সমীহ করেই কথা বলছেন। তার মতে, ‘বাংলাদেশের কাছে হারলেই বিপদ। এই দলের বিরুদ্ধে যেকোনো ম্যাচই কঠিন। তবে ভালো একটা ম্যাচের প্রত্যাশা করছি।’

ভারত বলেই বাংলাদেশ শিবিরে জয়ের ক্ষুধাটা বেশি। ২০১৬ এশিয়া কাপের (টি-২০) ফাইনালে মিরপুরে ভারতের কাছে ৮ উইকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ। আবার ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে এই ভারতের কাছে হেরেই সেমির স্বপ্ন চ‚র্ণ হয়েছিল মাশরাফিদের। প্রতিপক্ষ ভারত মানেই যেন স্নায়ুর লড়াই, বেঙ্গালুরুর ভয়াবহ স্মৃতি।

অতীতকে পাশ কাটিয়ে ভালো খেলাটাই মূল লক্ষ্য টাইগারদের। শিরোপা ছুঁতে দরকার মাত্র একটি জয়। সেই জয়ের জন্যই মরিয়া হয়ে আছে সাকিব শিবির, সঙ্গে গোটা বাংলাদেশও। ২০০৯ (শ্রীলঙ্কা), ২০১২ (পাকিস্তান), ২০১৬ (ভারত), ২০১৮ (শ্রীলঙ্কা); চারটি ত্রিদেশীয়/বহুজাতিক টুর্নামেন্টের ফাইনালে হারা বাংলাদেশের সামনে এবার পঞ্চমবারের মতো কোনো ফাইনাল।

কী হবে এবার, স্বপ্ন পূরণ না আবারো স্বপ্নভঙ্গের চিরায়ত গল্প?

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!