• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংকটের আশঙ্কায় খরচ কমিয়েছে মার্কিনিরা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক এপ্রিল ১৯, ২০১৭, ১০:৪৬ পিএম
সংকটের আশঙ্কায় খরচ কমিয়েছে মার্কিনিরা

ঢাকা: ট্রাম্প ক্ষমতায় যাওয়ার পরেই নতুন বিতর্ক শুরু হয় মার্কিন রাজনীতিতে। বোদ্ধা মার্কিনিরাও বুঝতে পারে যেকোনো সংকট সামনে আসতে পারে। তখন লাগবে অর্থ। সেজন্য আগাম প্রস্তুতি হিসেবে তারা খরচ কমিয়ে দিয়ে জমানো শুরু করে দেয়।

যার ফলে কেনাকাটা কমে গিয়েছে শপিংমলগুলোতে। তিন মাস শেষে দেশটির পর্যবেক্ষণে বেরিয়ে এসেছে লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ১২.৫ শতাংশ।

নতুন করে প্রতিষ্ঠানগুলোতে দক্ষ শ্রমিক নিয়োগে মার্কিনদের অগ্রাধিকার দেওয়ার তাগিদ দিয়ে একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে সরকারি প্রকল্পে বিদেশি ঠিকাদার বা কোম্পানি কাজ না পায়, তা কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) উইসকনসিন অঙ্গরাজ্য সফরকালে ট্রাম্প ওই নির্বাহী আদেশে সই করেন।

ট্রাম্পের নতুন ঘোষণাও আসে এতে, ‘বাই আমেরিকান, হায়ার আমেরিকান’। অর্থাৎ জনগণের উদ্দেশে ট্রাম্পের আহ্বান হলো মার্কিন পণ্য কিনুন, দেশের মানুষকে কাজে নিয়োগ দিন। তবে দেশটির জন্য ভীতিকর বাস্তবতা হচ্ছে সব মিলিয়ে কেনাকাটাই কমিয়ে দিয়েছেন মার্কিনরা। তাই পণ্যটি কোথায় তৈরি হচ্ছে বা কোন দেশের, তা তাঁদের কেনাকাটায় কোনো প্রভাবই ফেলতে পারছে না। গত ফেব্রুয়ারি ও মার্চে খুচরা কেনাকাটা অনেক কমেছে দেশটিতে।

সম্প্রতি প্রকাশিত দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালের পর এত বেশি কৃপণতা আর দেখেননি মার্কিন বিক্রেতারা। এ অবস্থা অর্থনীতিতে আঘাত ফেলবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। বিভিন্ন পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ; যা ট্রাম্পের ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন লক্ষ্যমাত্রার অনেক পেছনে।

বার্তা সংস্থা সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনে জয়ের পর আমেরিকানদের মনোবল বাড়াতে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ ক্ষেত্রে তিনি কিছুটা সফলও। অনেক পরিসংখ্যানে ভোক্তা, ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের আশাবাদী আচরণ পরিলক্ষিত হয়েছে। তবে এসব কোনো কিছুই কেনাকাটা বাড়াতে পারছে না। ভোক্তার এই ব্যয়ই দেশটির মূল চালিকাশক্তি।

অর্থনৈতিক গতির ৭০ ভাগই পরিচালিত হয় এই কেনাকাটার মাধ্যমে। বিশেষজ্ঞরা বর্তমান এ অবস্থাকে বলছেন ‘সন্দেহপ্রবণ আশাবাদ’। তাঁদের মতে, বর্তমান অবস্থায় জনগণ আশাবাদী হলেও সন্দেহ কাটছে না তাঁদের। তাঁদের মধ্যে এখনো এতটা প্রত্যাশা আসেনি যে তারা ভেবে নেবে সবকিছু অনেক দ্রুত পরিবর্তিত হবে। তবে আসছে বসন্তে অবস্থার পরিবর্তন হবে বলে আশা করছেন সামষ্টিক অর্থনৈতিক উপদেষ্টারা। ট্রাম্পের অনুপ্রেরণায় ক্রয়ের আগ্রহ বাড়বে মার্কিনদের মধ্যে—এমনটাই আশা তাঁদের। 

এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৩ দশমিক ৬ শতাংশ হবে বলেও আশা করছেন তারা।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা

Wordbridge School
Link copied!