• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংবর্ধনা নিয়ে ছাত্রলীগের দু’পক্ষে সংঘর্ষ


চট্টগ্রাম ব্যুরো জুলাই ১৪, ২০১৬, ০৬:২৪ পিএম
সংবর্ধনা নিয়ে ছাত্রলীগের দু’পক্ষে সংঘর্ষ

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর আলাওল ডিগ্রি কলেজে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পৌর মেয়রের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় এ ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের একাংশের সভাপতি ইমরানুল হক ও সাংগঠনিক সম্পাদক ফাহিম চৌধুরীর মাথা ফেটেছে। আহত হয়েছেন তাদের অনুসারী আরও কমপক্ষে পাঁচজন।

জানা গেছে, বাঁশখালী পৌর সদরের আলাওল ডিগ্রি কলেজ সম্প্রতি জাতীয়করণের ঘোষণা দেয়া হয়। এ উপলক্ষে কলেজ কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ও পৌরমেয়র শেখ সেলিমুল হক চৌধুরীকে সংবর্ধনা দেয়ার অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

এদিকে বেশ কিছুদিন ধরে ক্যাম্পসে ঢুকতে পারছিলেন না সভাপতি ইমরানুল ও তার সমর্থকরা। বৃহস্পতিবারের (১৪ জুলাই) সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ঘিরে তারা ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা চালালে এই সংঘর্ষ হয়।

তবে সংঘর্ষের সঙ্গে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন পৌরমেয়র সেলিমুল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সকালে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরুর আগেই কলেজের কাছে মিয়ারবাজার এলাকায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

শুরুতে মিয়ারবাজারে ইমরানুল হক ও তার অনুসারীদের সঙ্গে ফাহিম চৌধুরী ও তার অনুসারীদের হাতাহাতি হয়। এরপর দুই পক্ষ লাঠিসোটা নিয়ে মারামারিতে জড়ায়। একপর্যায়ে কলেজ মাঠে ছড়ায় তাদের সংঘর্ষ।

এর কিছুক্ষণ পর ইমরানুলের অনুসারীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে আবার মিয়ারবাজার এলাকায় জড়ো হয়। ততক্ষণে ফাহিমের অনুসারীরা ‘সরে যায়’। পরে কলেজ মিলনায়তনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। কলেজ ক্যাম্পাসসহ আশপাশের এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে পৌরমেয়র শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী বলেন, কলেজ জাতীয়করণ করায় সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। কলেজ মাঠে দলাদলি নিয়ে দুই পক্ষে হাতাহাতি হয়েছে। সেটা অন্য বিষয়। সংবর্ধনার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। অনুষ্ঠান চলছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজের এক শিক্ষক বলেন, ছাত্রলীগের দুই পক্ষ মিয়ারবাজার থেকে মারামারি শুরু করে কলেজ মাঠ পর্যন্ত এসেছে। তবে অনুষ্ঠান বন্ধ হয়নি।

বাঁশখালী থানার ওসি আলমগীর হোসেন মারামারির কথা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে পরে কথা হবে।

বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ইমরানুল হক ও ফাহিম চৌধুরী নামের দুই জনের মাথা ফেটেছে। আরও চার-পাঁচ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

ইমরানুল হকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তার এক অনুসারী ফোন ধরেন।

তিনি বলেন, “ইমরান ভাইয়ের মাথা ফেটেছে। তাকে চিকিৎসক সিটি স্ক্যান করাতে বলেছেন। তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।”

বাঁশখালী উপজেলা ছাত্রলীগে পাল্টাপাল্টি তিনটি কমিটি আছে। এরমধ্যে বৃহস্পতিবার সংঘর্ষে জড়ানো দুই পক্ষই সাংসদ মোস্তাফিজুরের অনুসারী কমিটির নেতা হিসেবে পরিচিত।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!