• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সংবিধান সংশোধনী রায়ের রিভিউ এ মাসে


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ৪, ২০১৭, ০৫:৪৮ পিএম
সংবিধান সংশোধনী রায়ের রিভিউ এ মাসে

ঢাকা: সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করতে যাচ্ছে সরকার। চলতি মাসেই এই আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, ‘আমরা রায় পর্যালোচনা করছি। রিভিউয়ের প্রস্তুতি চলছে। পুরো রায়ের বিরুদ্ধে এ মাসেই রিভিউ আবেদন করা হবে।’

রায় প্রদানের সময়ে থাকা প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বর্তমানে ছুটিতে রয়েছেন। তার ছুটিতে থাকা অবস্থায়ই রিভিউ করবে সরকার। শনিবার(৪ অক্টোবর) দুপুর দুইটায় সুপ্রিম কোর্টে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

এর আগে রিভিউ প্রস্তুতি নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমসহ রিভিউ কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন আইনমন্ত্রী।

২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বিচারক অপসারণ ক্ষমতা সংসদে ফিরিয়ে এনে পাস হয় সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী। এতে অসাংবিধানিক দাবি করে কয়েক আইনজীবীর রিট আবেদনের পর হাইকোর্ট ২০১৬ সালে সংবিধানের ওই সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে। গত ৩ জুলাই আপিল বিভাগেও ওই রায় বহাল থাকে। চলতি বছরের ১ আগস্ট সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ আপিল বিভাগের সাত বিচারকের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ হলে সরকার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়। এই রায়ে সংসদ, শাসন ব্যবস্থা, রাজনৈতিক সংস্কৃতি নিয়ে নানা মন্তব্য করা হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেও অবমাননা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে সরকার। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর থেকেই সরকার এর বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করার কথা জানিয়ে আসছে। পাশাপাশি প্রধান বিচারপতিরও তীব্র সমালোচনা করে আসছেন মন্ত্রিসভার সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতারা।

এরই মধ্যে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এক মাসের ছুটিতে দেশের বাইরে গেছেন গত ১৩ অক্টোবর। এর আগেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে আবদুল ওয়াহহাব মিয়াকে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। আর প্রধান বিচারপতি সিনহার বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থপাচারসহ নানা গুরুতর অভিযোগ উঠার পর এগুলোর মীমাংসার আগে তিনি আর পদে ফিরতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী।

সুরেন্দ্র কুমার সিনহার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ফেব্রুয়ারিতে। এর আগে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের মীমাংসা কঠিন। ফলে তিনি আর তার চেয়ারে বসতে পারবেন না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

বৈঠকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, মমতাজ উদ্দিন ফকির, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু, একরামুল হক টুটুল, সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীর, মাসুদ হাসান চৌধুরী, খন্দকার দিলিরুজ্জামান, অমিত তালুকদার, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ প্রমুখ।

সোনালীনিউজ/আতা

Wordbridge School
Link copied!