• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সংবিধান সংশোধনীর রায় নিয়ে ঠান্ডা মাথায় ভাবছি


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ৬, ২০১৭, ০৯:৪৬ পিএম
সংবিধান সংশোধনীর রায় নিয়ে ঠান্ডা মাথায় ভাবছি

ঢাকা: সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর আপিলের রায় নিয়ে হাই কোর্ট  ও সরকারি দল আওয়ামী লীগের মধ্যে বেড়েই চলছে দুরত্ব। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানা আলোচনা। বিএনপি ভাবছে এই রায়ের সুযোগে সংসদ বাতিলের জন্য রিট করবে। এমন সময়ে ওবায়দুল কাদের বললেন, আমরা ঠান্ডা মাথায় ভাবছি। সময় হলে প্রতিক্রিয়া দেবো।

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর আপিলের রায় নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা অর্থমন্ত্রীর নিজস্ব বক্তব্য বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আমরা দলীয়ভাবে এখনো কোনো বক্তব্য দিইনি। আমরা হুট করে কোনো বক্তব্য দিতে চাই না। আমরা ঠান্ডা মাথায় বিষয়টি নিয়ে ভাবছি। এখানে মাথা গরম করে কিছু করার কোনো সুযোগ নেই। যথাসময়ে আমরা আমাদের প্রতিক্রিয়া জানাব।’

রোববার(৬ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে মেট্রোরেলের ইঞ্জিন-বগি কেনার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সই অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলে দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গত শুক্রবার(৪ আগস্ট) সিলেটে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমরা আবার পাস করব এবং অনবরত করতে থাকব। দেখি জুডিশিয়ারি কত দূর যায়।’

মেট্রোরেলের বগি ক্রয় ও রেললাইন বসানোর জন্য জাপানের কাওয়াসাকি-মিতসুবিশি কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে চুক্তি করেছে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকারি কোম্পানি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। চুক্তিতে সই করেন মেট্রোরেল প্রকল্পের পরিচালক ও ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফতাব উদ্দিন তালুকদার এবং কাওয়াসাকি-মিতসুবিশি কনসোর্টিয়ামের মাকোতা ওগাওয়ারা।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে করা চুক্তির মূল্য ৪ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা। এর আওতায় রেলের লাইন বসানো ছাড়াও বগি-ইঞ্জিন কেনা হবে। এ ছাড়া ডিপো ও রেললাইনের নানা যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা হবে এই চুক্তির আওতায়।

অনুষ্ঠান মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, মেট্রোরেলের বগিগুলো হবে আধুনিক ও উচ্চ গুণগতমানসম্পন্ন। এগুলো মরিচাহীন ইস্পাত দিয়ে নির্মিত হবে। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ট্রেনে দুটি হুইলচেয়ারের ব্যবস্থাও থাকবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নাজমুল হক প্রধান, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এম এ এন ছিদ্দিক, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবে, জাইকার প্রধান প্রতিনিধি তাকাতোশি নিশিকাতা প্রমুখ। ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ আহম্মেদসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ আট ভাগে বা প্যাকেজে ভাগ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে পাঁচটি প্যাকেজের ঠিকাদার নিয়োগ হয়ে গেছে। চারটি প্যাকেজে কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ২০১৯ সালে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশ চালু করার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।

এই মেট্রোরেলের পথটির নাম দেওয়া হয়েছে এমআরটি-৬, দৈর্ঘ্য প্রায় ২০ কিলোমিটার। শুরু উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে এবং পল্লবী, ফার্মগেট, দোয়েল চত্বর, প্রেসক্লাব হয়ে মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে গিয়ে শেষ হবে। পুরোটাই হবে উড়ালপথে। এই পথে স্টেশন হবে ১৬টি।

মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৬ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা দেবে জাপানের সংস্থা জাইকা। বাকি ৫ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা জোগাবে সরকার।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা

Wordbridge School
Link copied!