• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘সংবিধানের কোনো ধারা আদালত পুনঃস্থাপন করতে পারে না’


আদালত প্রতিবেদক আগস্ট ১, ২০১৭, ০৩:৪১ পিএম
‘সংবিধানের কোনো ধারা আদালত পুনঃস্থাপন করতে পারে না’

ঢাকা: রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন সংবিধানের কোনো ধারা আদালত পুনঃস্থাপন করতে পারে না। মঙ্গলবার (১ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল এ মন্তব্য করেন।

মাহবুবে আলম বলেন, সংবিধানের কোনো ধারা আদালত অবৈধ ঘোষণা করতে পারে, কিন্তু পুনঃস্থাপন করতে পারে না। সেটির এখতিয়ার একমাত্র সংসদের হাতে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, সকালে বিচারপতি অপসারণ সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ। পরে সেটি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটেও দেয়া হয়। প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাসহ আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির স্বাক্ষরের পর ৭৯৯ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়। এতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনঃস্থাপন করা হয়।  

প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা নেতৃত্বাধীন সাত বিচারকের আপিল বিভাগ এ রায় দেন। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।

২০১৪ সালে সংসদে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পাস হলে তা রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা সৃষ্টি করে। এর মধ্যে আসাদুজ্জামান সিদ্দিকীসহ সুপ্রিমকোর্টের ৯ জন আইনজীবী একটি রিট আবেদন করেন হাইকোর্টে।

২০১৬ সালে হাইকোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে দেয়া রায়ে সংবিধানের এই সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করা হয়।

হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে ৮ মে আপিল বিভাগের 'ফুলবেঞ্চে' শুনানি শুরু হয়। সব মিলিয়ে ১১ দিন রাষ্ট্র ও রিট আবেদনকারীর বক্তব্য শোনেন প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাসহ সর্বোচ্চ আদালতের বিচারকরা। পাশাপাশি অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে সুপ্রিমকোর্টের ১০ জন আইনজীবীর বক্তব্যও শোনেন আপিল বিভাগ।

তার মধ্যে কামাল হোসেনসহ নয়জনই সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের পক্ষে অর্থাৎ ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পক্ষে মত দেন। সংবিধানের এই সংশোধনের পক্ষে অবস্থান জানান শুধু আজমালুল হোসেন কিউসি। কামাল হোসেনের সঙ্গে একই মত পোষণকারীরা হলেন টিএইচ খান, এম আমীর-উল ইসলাম, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, এএফএম হাসান আরিফ, ফিদা এম কামাল, এজে মোহাম্মদ আলী, এমআই ফারুকী ও আবদুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেএ

Wordbridge School
Link copied!