• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সংরক্ষণের অভাবে বছরে ৩৩ শতাংশ আম নষ্ট


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ২৪, ২০১৭, ০৯:২৪ পিএম
সংরক্ষণের অভাবে বছরে ৩৩ শতাংশ আম নষ্ট

ঢাকা: বাংলাদেশে আমের বাজার রয়েছে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার। সঠিক সংরক্ষণ ও পরিবহন ব্যবস্থার সমস্যার কারণে প্রতি বছর ৩৩ শতাংশ আম নষ্ট হয়ে যায়। বাংলাদেশে বর্তমানে কৃষি পণ্য চাষাবাদে কীটনাশকের ব্যবহার উল্লেখজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলমূল এবং শাক-সবজির বিষয়ে নিরাপদ খাদ্য আইনকে আরো সুনির্দিষ্ট করার আহবান জানান বক্তারা। 

বুধবার(২৪ মে) দেশের আমের বাজার নিয়ে রাজধানী ঢাকায় আয়োজিত এক সেমিনারে একথা বলেন বক্তারা। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং ইউএসএআইডি’র এগ্রিকালচার ভ্যালু চেইনস (এভিসি) প্রজেক্ট যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে। 

“আমের বাজারজাতকরণে নীতি সহায়ক পরিবেশ”  শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুন্সী শফিউল। সেমিনারে মূল  প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্যান বিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুর রহিম। 

অতিরিক্ত সচিব মুন্সী শফিউল হক বলেন, জনগণের নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে সরকার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করেছে। সরকারের পক্ষ হতে আর্থিক ও অন্যান্য সহায়তা প্রদানের ফলে রাজশাহীর পর সাতক্ষীরা আম উৎপাদনের এলাকা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। 

মূল প্রবন্ধে আব্দুর রহিম বলেন, আমে ব্যবহৃত কার্বহাইড্রোড মানব দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। প্রাকৃতিকগত ভাবে আমে ১.২২ থেকে ৩.০৮ পিপিএম পরিমাণে ফরমালিন থাকে, যা আমকে পাকতে সাহায্য করে। আম পাকতে ২০০ থেকে ১০০০ পিপিএম পরিমান ইথিফোন ব্যবহার নিরাপদ। 

ডিসিসিআই’র প্রাক্তন সহ-সভাপতি শোয়েব চৌধুরী বলেন, ফরমালিন ব্যবহারের ভুল ধারণা কারণে ২০১৩ সালে প্রচুর পরিমাণে আম ধবংস করা হয়েছিল। সে সময় আমে ফরমালিন চিহ্নিতকরণে ব্যবহৃত মেশিনগুলোও সঠিক ছিল না।  

নির্ধারিত আলোচনায় অংশ নেন ইউএসএআইডি’র এগ্রিকালচার ভ্যালু চেইনস (এভিসি) প্রকল্পের প্রধান মাইকেল ফিল্ড, ডিসিসিআই’র মহাসচিব এএইচএম রেজাউল কবির, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম এ হাসেম, বাংলাদেশ সুপার মার্কেট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব জাকির হোসেন অংশগ্রহণ করেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/তালেব

Wordbridge School
Link copied!