• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে ক্ষমা চাইলেন তথ্যমন্ত্রী


নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ২৫, ২০১৬, ০৯:৪২ পিএম
সংসদে ক্ষমা চাইলেন তথ্যমন্ত্রী

গত রোববার (২৪ জুলাই) পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) এক অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ টিআর-কাবিখার অর্ধেক এমপিদের পকেটে যায়’। তার এই বিতর্কিত ও বেফাঁস মন্তব্যে মন্ত্রিসভায় তোপের মুখে পড়েছেন তিনি। আর এ কারণে সোমবার (২৫ জুলাই) জাতীয় সংসদে ক্ষমা চেয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

সোমবার (২৫ জুলাই) জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান সংসদ সদস্যরা।
 
সংসদ সদস্যদের দাবির মুখে নিজ বক্তব্যের জন্য জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে ক্ষমা চান তিনি।

অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, তথ্যমন্ত্রী সবাইকে চোর বানাতে পারেন না। উনি যা বলেছেন তাতে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, মন্ত্রীরা কেউ-ই সেই অপবাদ থেকে বাদ পড়েন না।

তিনি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, দুদকসহ তথ্যমন্ত্রীর সব মিডিয়া নিয়ে আমার এলাকা তদন্ত করুন। এক টাকার অনিয়ম হলে আমি সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করবো। তবে তথ্যমন্ত্রীর এলাকারও তদন্ত করা উচিত। তথ্যমন্ত্রী সবারই ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন, বিবেকের তাড়নায় তথ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।

এ সময় সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা নিজ নিজ আসনের সামনে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে তাকে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার দাবি জানান।

এরপরও সংসদ সদস্যরা একযোগে প্রতিবাদ জানাতে থাকলে স্পিকার বলেন, তথ্যমন্ত্রী তার বক্তব্যের ব্যাখা দিয়েছেন এবং প্রত্যাহারও করে নিয়েছেন। এরপরও আপনারা কি চান তা আমাকে বুঝতে হবে।

জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাসহ আরো বেশ ক’জন সংসদ সদস্য মাইক ছাড়াই চিৎকার করে বলতে থাকেন- মাননীয় স্পিকার, তথ্যমন্ত্রী ক্ষমা না চাইলে আমরা শান্ত হবো না। তাকে ক্ষমা চাইতেই হবে।

এ সময় সংসদ সদস্যরা ‘নো নো, আপনি বলেছেন’ বলে প্রতিবাদ করতে থাকলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমে আমার বক্তব্যে আংশিকভাবে প্রচার হয়েছে, পুরোটা প্রচার হয়নি। তবে আমি একজন এমপি হয়ে অন্য সব এমপিকে আন্তরিকভাবে সম্মান করি এবং তা অব্যাহত আছে। তাই আমার বক্তব্যে এমপি ও জনপ্রতিনিধিরা কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি আন্তরিকভাকে দুঃখিত এবং আমার ওই বক্তব্যে প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।

এরপরও সংসদ সদস্যরা শান্ত না হয়ে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিতে ফ্লোরের দাবি জানাতে থাকে। পরে দ্বিতীয় দফায় ফ্লোর নিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘এমপি ও জনপ্রতিনিধি সম্পর্কে আমার মন্তব্যে অনভিপ্রেত ছিল। সেজন্য আমি দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা চাচ্ছি।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!