• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৮, ০৮:১৩ পিএম
সংসদে ক্ষুব্ধ  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ঢাকা: সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একজন উপদ্ষ্টোর নাম উল্লেখ না করে তার কঠোর সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তিনি উপদেষ্টা হওয়ার জন্য আমাদের কাছে অনেকবার ধর্ণা দিয়েছিলেন। আমরা যখন পার্টি থেকে উপদেষ্টার নাম পাঠাই, তখন তার নামটাও পাঠিয়েছিলাম। উপদেষ্টা হওয়ার পর সবার আগে আমাকেই গ্রেফতার করা হলো।

আর, আমার বিরুদ্ধে মামলাটা দেওয়া হলো। আমি যখন সিদ্ধান্ত নিলাম,  দেশে ফিরে আসবো, তিনি নিজে আমাকে ফোন করেছিলেন। বলেছিলেন, থাকো বুনডি তুমি আর আইসো না। বরিশাল-ফরিদপুরে ছোট বোনকে বুনডি বলে ডাকে। সঙ্গে একজন মেজর জেনারেল ছিলেন।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে ১৯তম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক ভদ্রলোক এখন দেখি, অনেক বড় বড় কথা বলেন। বেশ জ্ঞানী-গুণী। আমি পার্লামেন্টে সার্কাসের এক গাধার গল্প বলায় তিনি বেশ দুঃখ পেয়েছেন। আমি দেখলাম, অনেক সময় টেলিভিশন টক-শোতে তিনি বলেন, তাদের মতো শিক্ষিত লোকদের নাকি গাধা বলা হয়েছে। আমি তো একটা গল্প বলেছি। এতে কারও যদি আঁতে লাগে, আর সে যদি নিজেকে গাধা মনে করে, আমার কিছু করার নাই। সেই ভদ্রলোকও খুনি হুদা আর পাশাকে নিয়ে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তি নামে একটি রাজনৈতিক দলও করেছিল। মঞ্জু ভাই (পানিসম্পদমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু) ভালো বলতে পারবেন।

শেখ হাসিনা বলেন, যে লোক খুনিদের নিয়ে রাজনৈতিক দল গঠন করেছিলেন, তাদের পেছনে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেছিলেন, সেই টাকা কিসের টাকা? ইত্তেফাকের টাকা? ইত্তেফাকটা কার? হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর অর্থে ওই ইত্তেফাক আওয়ামী লীগের একটা পত্রিকা। যেটা অবশ্য পরে ব্যক্তিগত সম্পত্তি হয়ে যায়। আওয়ামী লীগের আর কোনও অধিকার থাকে না।

সেই ইত্তেফাকের অর্জিত সম্পদ দিয়েই ভদ্রলোক বিদেশে ব্যারিস্টারিও পড়ে এসেছেন, সাহেব হয়ে গেছেন। ওই ইত্তেফাকের টাকা দিয়েই তাদের জৌলুস। ইত্তেফাকের টাকা দিয়েই তারা বড়লোক হয়েছেন, অর্থশালী হয়েছেন। এখন কেউ রিকশায় চড়লে হীন চোখে দেখেন। কিন্তু, টাকাটা সোহরাওয়ার্দী সাহেবের বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

এসময় তিনি আরও বলেন, তার ছেলেটা কী অবস্থায় আছে; সে খবরটাও রাখেন না। ইত্তেফাক পরিচালনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীর অবদান রয়েছে; সে কথা ভুলে গিয়েছিলেন। তার মুখে এখন গণতন্ত্রের সবক শুনতে হয়। বাংলাদেশের জন্য এটাই হলো দুর্ভাগ্যের।

সোনালীনিউজ/আতা

Wordbridge School
Link copied!