• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে থাকা দল নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রস্তাব


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ২৪, ২০১৮, ০৪:১১ পিএম
সংসদে থাকা দল নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রস্তাব

ঢাকা: বর্তমান জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী সব দলের সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব দিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। নির্বাচনকালীন সরকারের প্রস্তাব দিয়ে এরশাদ বলেন, সাংবিধানিক পদ্ধতির অধীনে নির্বাচনকালীন সময়ে সংসদের প্রতিনিধিত্বকারী সব দলের সমন্বয়ে অন্তর্বর্তীকালীন একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে এর বিকল্প নেই। 

শনিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটের মহাসমাবেশে তিনি এই প্রস্তাব দেন।

এসময় এরশাদ আরও বলেন, এই সরকার শুধু রুটিনমাফিক রাষ্ট্রীয় কার্য পরিচালনা করবে। নির্বাচনে এই অন্তর্বর্তী সরকারের কোনও ভূমিকা থাকবে না। নির্বাচন পরিচালনা করবে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন।

জাপা প্রধান এরশাদ তার বক্তব্যের প্রথম ২৮ দফার শেষ দিকে বলেছেন, আমরা কোনও কেয়ারটেকার, সহায়ক কিংবা কোনও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় বিশ্বাস করি না। এর কারণও জানিয়েছেন তিনি। তার অভিযোগ— কোনও তত্ত্বাবধায়ক সরকার জাতীয় পার্টির প্রতি সুবিচার করেনি। এরশাদের ভাষ্য, সেই কলঙ্কিত ব্যবস্থা সংবিধান থেকে মুছে গেছে। আমরা সাংবিধানিক ব্যবস্থার অধীনে নির্বাচনে অংশ নিতে চাই।

১৫ মিনিটের বক্তব্যে সরকারের সমালোচনা করেন এই সাবেক রাষ্ট্রপতি। একইসঙ্গে নিজের ক্ষমতাকালীন অবস্থার কথা তুলে ধরেন তিনি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও রাজপথের বিরোধী দল বিএনপির নেতিবাচক দিক তুলে ধরে দল দুটির নিন্দা করেন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই বিশেষ দূত।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তার বক্তব্যে ১৮ দফা উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করে জনগণের কল্যাণে ১৮ দফা কর্মসূচি প্রণয়ন করেছিলাম। আজ আবারও নতুনভাবে ১৮ দফা প্রণয়ন করছি।

১৮ দফার মধ্যে উল্লেখযোগ্য— প্রাদেশিক ব্যবস্থার প্রবর্তন করা, নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার করে আনুপাতিক হারে ভোটের ভিত্তিতে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচন, গ্যাস ও বিদ্যুতের মূলবৃদ্ধি না করা, ঘুষ ও দুর্নীতি বন্ধ করা, কৃষকদের ভর্তুকি প্রদান, খাদ্যে ভেজাল নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষা পদ্ধতি সংস্কার, স্বাস্থ্যসেবা খাতের উন্নয়ন, হরতাল-অবরোধ নিষিদ্ধকরণ, দ্রুত সময়ের মধ্যে পদ্মা সেতুর কাজ বাস্তবায়ন এবং সারাদেশে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা।

এরশাদের মন্তব্য, দেশে এখন শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি চলছে। এ অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে সম্মিলিত জাতীয় জোটকে ভোট দিয়ে দুটি দলের কাছ থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে।

শনিবার (২৪ মার্চ) দুপুর সোয়া ১২টায় মহাসমাবেশে এরশাদ বক্তব্য শুরু করেন। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টায় বক্তব্য শেষ হওয়ার আগে লিখিত বক্তব্যে তিনি ১৮ দফা পেশ করেন ও ২৮টি বার্তা দেন।

সোনালীনিউজ/আতা

Wordbridge School
Link copied!