• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সঙ্গে এসি নিয়ে নিহত সেনার বাড়িতে ভারতের মুখ্যমন্ত্রী


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ১৫, ২০১৭, ১০:৫৭ পিএম
সঙ্গে এসি নিয়ে নিহত সেনার বাড়িতে ভারতের মুখ্যমন্ত্রী

ঢাকা: যাবেন সীমান্তে দায়িত্ব পালনের সময়ে নিহত সেনা কনস্টেবলের বাড়িতে। সৎকারের সময়ে ২৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করলেও যেতে পারেন নি। তাই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া। এসময় উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নাথ নিহত সেনা সদস্যর বাড়ির যে ঘরটিতে বসবেন তা নিয়ে ঘটেছে তুল-কালাম কাণ্ড।

মন্ত্রীর জন্য সেই ঘরটিতে বসানো হয়েছিল শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি)। বসতে দেয়ার জন্য দামি সোফা, মেঝেতে কার্পেট, ফুলদানি ও তোয়ালের ব্যবস্থা করা হয়েছিল গরিবের সেই ঘরটিতে। মন্ত্রী চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা নিয়ে যায় স্থানীয় প্রশাসন। বিষয়টিকে অপমানজনক হিসেবে দেখছেন সেনা সদস্যর পরিবার ও এলাকাবাসী।

পাকিস্তান সীমান্তে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হেড কনস্টেবল প্রেম সাগরসহ দুজন নিহত হন। ২ মে সকালে প্রেম সাগর ও আরেক জওয়ান পরমজিৎ সিংহের ছিন্নবিচ্ছিন্ন দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রেম সাগরের বাড়ি উত্তর প্রদেশের দেওরিয়া গ্রামে। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে আসেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নাথ। প্রেম সাগরের বাড়ি পরিদর্শনের সময় যোগী আদিত্য নাথের আরাম নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়িটিতে এসি ও সোফা নেয়া হয়। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ–সরবরাহ করা হয়। এমনকি যে কক্ষে আদিত্য নাথ বসবেন, সেখানে কার্পেটও বসানো হয়। রাখা হয় তোয়ালে।

প্রেম সাগরের মেয়ে জানিয়েছেন, তাদের বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর আসা উপলক্ষে নেওয়া ‘বিশেষ ব্যবস্থা’ এবং তিনি চলে যাওয়া মাত্র তা সরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় তারা ‘অপমানিত’ হয়েছেন।

মুখ্যমন্ত্রী শ্রদ্ধা জানাবেন বলে প্রেম সাগরের মরদেহ সৎকার ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় পিছিয়ে দেয়া হয়। দেওরিয়া গ্রামের বাসিন্দারা মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে চাইছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী ফোনে কথা বলার পর এবং তিনি আসবেন প্রতিশ্রুতি দেয়ার পর মৃতদেহের সৎকার করা হয়। সপ্তাহ শেষে তিনি প্রেম সাগরের বাড়িতে আসেন।

প্রেম সাগরের চার কক্ষের বাড়িটিতে থাকেন তার স্ত্রী ও চার সন্তান। প্রেম সাগরের ছেলে ঈশ্বর বলেন, পরিদর্শনের আগে মুখ্যমন্ত্রী যে কক্ষটিতে বসে কথা বলবেন, সেখানে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ একটি এসি, এক সেট সোফা বসায়। বিছানো হয় কার্পেট। তিনি চলে যাওয়া মাত্র কয়েকজন কর্মকর্তা এসে সবকিছু তুলে নিয়ে চলে যান।

প্রেম সাগরের ভাই দয়া শংকরও বিএসএফ সদস্য। তিনি বলেন, এটা ছিল অপমান। এনডিটিভি

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা

Wordbridge School
Link copied!