• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সঞ্চয়পত্র নির্ভরতা বাজেট ব্যয় বাড়াচ্ছে


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ৯, ২০১৭, ০৯:৪১ পিএম
সঞ্চয়পত্র নির্ভরতা বাজেট ব্যয় বাড়াচ্ছে

ঢাকা: বাজেটের অর্থ যোগানে সরকার উচ্চ সুদের জাতীয় সঞ্চয়পত্র নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। এতে বছর শেষে সরকারের ব্যয় বেড়ে যাবে। এটা পুঁজিবাজার উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করছে। এজন্য এখাতের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে বিকল্প উৎসা খুঁজতে হবে সরকারকে। এমন কথা বলেছেন বাংলাদেশ সফররত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধি দলের প্রধান ব্রাইন অ্যাটকেন।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আইএমএফ প্রতিনিধি দলটির অপর দুই সদস্য ও সংস্থাটির বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেলা কায়েন্দেরা উপস্থিত ছিলেন।

আন্তর্জাতিক সংস্থটির এ প্রতিনিধি বলেন, বাংলাদেশে এখন বড় অঙ্কের বিনিয়োগ প্রয়োজন। যা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর পক্ষে যোগান দেয়া সম্ভব নয়। এজন্য নীতি সহায়তা দেয়া দরকার যাতে দেশের পুঁজিবাজার এই দীর্ঘ মেয়াদের বিনিয়োগের উৎস হতে পারে। যা আগামীতে প্রবৃদ্ধির উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

সঞ্চয়পত্রের বিষয়ে তিনি বলেন, উচ্চ সুদের সঞ্চয়পত্র থেকে অর্থ নিচ্ছে সরকার। আর্থিক খাত আধুনিকায়ন করতে এটা একটি বাধা। আগামীতে সরকারকে বিকল্প উৎস খুঁজতে হবে। এই উৎস হতে পারে বন্ড মার্কেট। এজন্য সরকারকে নীতি সহায়তা দিতে হবে। পুঁজিবাজার উন্নয়নে এই সহায়তা ভাল কাজ করবে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইতে ২২১টি তালিকাভুক্ত সরকারি ট্রেজারি বন্ড রয়েছে। যার বাজার মূলধন প্রায় ৫৪৯ বিলিয়ন টাকা।

এসময়ে ব্যাংকিং খাতে খেলাপী ঋণ বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ জানিয়ে আইএমএফ বলেছে, এটা কমানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। খেলাপি ঋণ বন্ধে সরকারি ব্যাংকগুলোতে নজরদারি ও তদারকির পাশাপাশি বেসরকারি ব্যাংকগুলোকেও পর্যবেক্ষণের আওতায় আনতে হবে। ঋণ বিতরণ কার্যক্রম নিবিরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। ব্যাংকের বিনিয়োগ যেন বাধাগ্রস্থ না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখার জন্য পরামর্শ দেয় সংস্থাটি।

আগামী ১ জুলাই ভ্যাট আইন কার্যকর হতে যাচ্ছে উল্লেখ করে ব্রাইন বলেন, এ উদ্যোগের ফলে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে। সকল কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পাবে। মুদ্রানীতির প্রশংসা করে তিনি বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশে বর্তমান মুদ্রানীতি সহায়ক ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির সক্ষমতা ভাল। কিন্তু বৈশ্বিক দুর্যোগের প্রভাব থেকে বাঁচতে হলে কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে বাংলাদেশকে।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করেন সংস্থাটির প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। ঢাকা সফরকালে তারা অর্থ সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, সরকারি ও বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

সোনালীনিউজ/আতা

Wordbridge School
Link copied!