ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের সামনে অ্যাম্বুলেন্সের চাপায় ঘটনাস্থলেই মারা যায় গোলেনুরের পাঁচ বছর বয়সী ছেলে শাকিল। এরপর মারা যায় গর্ভে থাকা ছয় মাসের ভ্রুণ। সন্তানদের টানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চলে গেলেন মাও। এ ঘটনায় মা-ছেলে ও শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরো পাঁচজন।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে হাসপালের জরুরি বিভাগের প্রধান ফটকের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক।
তিনি জানান, চালক ও অ্যাম্বুলেন্সটিকে আটক করা হয়েছে। নিহত শিশুর নাম শাকিল (৭) বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির সূত্র জানায়, এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো পাঁচজন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হতাহতরা কোনও রোগীর স্বজন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহতরা হলেন, গোলেনূর বেগম (২৫), তার ছেলে সাকিব (৭)। গোলেনূরের স্বামীর নাম ফেরদৌস, তার বাড়ি পটুয়াখালীর রাঙাবালির বাইজদা এলাকায়। নিহত অন্যজনের পরিচয় জানা যায়নি, তার বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া জানান, অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় সাকিব সঙ্গে সঙ্গে মারা যান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল ৩টায় মৃত্যু ঘটে তার মায়ের।
নিহত গোলেনূর বেগমের স্বজনদের বরাত দিয়ে এসআই মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া জানান, পটুয়াখালীতে দুদিন আগে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় মাথায় আঘাত পাওয়া ছেলে সাকিবকে চিকিৎসক দেখাতে হাসপাতালে এসেছিলেন তারা। শুক্রবার সপরিবারে ঢাকায় আসার পর শনিবার সকালে সবাই আসেন ঢাকা মেডিকেলে।
তিনি জানান, খালি অ্যাম্বুলেন্সটি দ্রুতবেগে হাসপাতালে ঢুকে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে একটি রিকশাকে ধাক্কা দেয় এবং কয়েকজন পথচারীকে চাপা দেয়।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন
আপনার মতামত লিখুন :