• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সন্তানের পর বাবাকেও খুনের হুমকি আসামিদের


ঝালকাঠি সংবাদদাতা নভেম্বর ১৮, ২০১৭, ০৬:১৫ পিএম
সন্তানের পর বাবাকেও খুনের হুমকি আসামিদের

ঝালকাঠি: জেলার বিটিভির স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত ক্যামেরাম্যান আলতাফ হোসেন হত্যা মামলা দায়েরের ১ মাস অতিবাহিত হলেও গ্রেপ্তার হয়নি কোনো আসামি। গত ১৬ অক্টোবর আলতাফ হোসেনের স্ত্রী মোসা. ছবি আক্তার সাবিনা রাজাপুর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর উল্টো আসামিদের হুমকিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বাদী পরিবার।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, রাজাপুর উপজেলার কানুদাসকাঠি এলাকার জাহিদুল ইসলাম লিটন, রেজোয়ান হাওলাদার, মুজাম্মেল হাওলাদার, ছিদ্দিকুর রহমানসহ আরো অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনে পরিকল্পিতভাবে বিটিভির স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত ক্যামেরাম্যান আলতাফ হোসেনকে হত্যা করে। এর পূর্বে আলতাফ হোসেনের সঙ্গে আসামিদের সঙ্গে জমির সীমানা নিয়ে বিরোধ ছিল। তাঁদের সঙ্গে আলতাফের প্রথম স্ত্রীর যোগাযোগ থাকায় মনমালিন্য হওয়ায় মোসা. ছবি আক্তার সাবিনার সাথে দ্বিতীয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।

আলতাফ হোসেনের প্রথম সংসারে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে এবং দ্বিতীয় সংসারে ১টি ছেলে রয়েছে। ২০১৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে আসামিরা কানুদাসকাঠি বাজার সংলগ্ন কাটাখালি বাজার থেকে আলতাফকে তুলে নিয়ে যায়। ৭ মার্চ তাকে মৃতাবস্থায় বাড়িতে নিয়ে আসে। বাদী গর্ভাবস্থায় থাকায় তাকে কোন খবর না দিয়ে প্রভাবশালী আসামীদের ইচ্ছেমতো মৃতদেহ দাফন করা হয়।

পরবর্তীতে বাদি, তার পিতা বেলায়েত হোসেন, নবজাতক সন্তানকে হত্যা পরিকল্পনা করলে জীবন রক্ষার্থে আত্মগোপনে থাকে বাদী পরিবার। গত ১২ অক্টোবর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নালিশি অভিযোগ দায়ের করলে রাজাপুর থানার ওসিকে এজাহার রেকর্ডের নির্দেশ দেন। ১৬ অক্টোবর এজাহারটি রাজাপুর থানায় রেকর্ড (মামলা নং-৭) করা হয়।

বাদির পিতা বেলায়েত হোসেন জানান, মামলা দায়ের হলেও হত্যা মামলার আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় কোন আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। এখন তারা উল্টো আমাদের বিভিন্নভাবে খুন জখমের হুমকি দেয়। আমরা জীবন রক্ষার তাগিদে বাড়ি ছেড়ে ঝালকাঠিতে এসে আশ্রয় নিয়েছি।

কানুদাসকাঠি ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শাহীন জানান, লিটন ও রেজোয়ান (হত্যা মামলার আসামি) এখন এলাকায় আছে কিনা ঠিক জানি না। তবে ৩/৪ দিন আগে তাঁদেরকে এলাকায় ও বাজারে দেখেছি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুস সালাম জানান, ঘটনা ২০১৪ সালের, সেই মামলা হয়েছে ২০১৭ সালে। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে এ মামলাটি দায়ের হয়েছে বলে তদন্তে প্রাথমিকভাবে জেনেছি। অধিকতর তদন্ত চলছে। এ কারণে আসামিদের গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়নি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!