• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর

সন্ত্রাস ঠেকাতে যোগাযোগ রাখবে ঢাকা-বার্লিন


কূটনৈতিক প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭, ১১:৩১ এএম
সন্ত্রাস ঠেকাতে যোগাযোগ রাখবে ঢাকা-বার্লিন

ঢাকা : নিরাপত্তা ইস্যুতে যৌথ ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ ও জার্মানি। এর ফলে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কাজ করতে এখন থেকে কূটনৈতিক পর্যায়ে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবে দুই দেশ। এ ছাড়া বিদ্যমান মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট প্রক্রিয়াকে আরো আধুনিকায়ন করতে দুই দেশের মধ্যে একটি সমাঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের মধ্যে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ দুটি বিষয়ে নথিপত্র স্বাক্ষর করা হয়।

নিরাপত্তা ইস্যুতে যৌথ ঘোষণাপত্র স্বাক্ষর বিষয়ে ঢাকা ও বার্লিনের পক্ষ থেকে এখনো বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। ঢাকার জার্মান মিশন থেকে জানা গেছে, জার্মানির মিউনিখে দেশটির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের সঙ্গে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অন্য বিষয়ের পাশাপাশি মিয়ানমারের জাতিগত নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা হয়। এ বিষয়ে ঢাকাকে অর্থবহ সহযোগিতা করবে বার্লিন। এ ছাড়া নিরাপত্তা ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে একটি যৌথ ঘোষণাপত্র এবং বিদ্যমান মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট প্রক্রিয়াকে আরো আধুনিকায়ন করতে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়েছে।

কূটনৈতিক একটি সূত্রে জানা গেছে, নিরাপত্তা ইস্যুতে ঢাকা-বার্লিন যৌথ ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করায় এখন থেকে বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস জঙ্গিবাদসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিষয়ে দুই দেশ নিয়মিত মতবিনিময় করবে। সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস জঙ্গিবাদ নিরোধে দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত কূটনৈতিক আলোচনা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ত্যাগ করেন। তিন দিনের সফর শেষে গতকাল রাতে দেশে ফেরেন। মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের সঙ্গে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, জার্মানি ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর ও বন্ধুত্বপূর্ণ। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী ইউরোপের প্রথম দেশগুলোর মধ্যে জার্মানি অন্যতম। জার্মানি বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী এবং একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশি রফতানিপণ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম গন্তব্য (যুক্তরাষ্ট্রের পরে)। ইউরোপজুড়ে উগ্র জাতীয়তাবাদী ডানপন্থী রাজনৈতিক শক্তির আকস্মিক উত্থান, ব্রেক্সিট-পরবর্তী বিষয়াদি, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি প্রশমন, ইউরোপে চলমান শরণার্থী ও অভিবাসন সংকট, বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস জঙ্গিবাদ এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে পারস্পরিক বোঝাপড়া আরো সুসংহত হয়েছে। 

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!