• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সপ্তদশ সংশোধনী পাসের সুপারিশ


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ৭, ২০১৮, ০২:১০ পিএম
সপ্তদশ সংশোধনী পাসের সুপারিশ

ঢাকা : আগামী ২৫ বছর জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন একইভাবে বহাল থাকবে। এজন্য সংবিধান সংশোধন করতে সংসদে উত্থাপিত ‘সংবিধান (সপ্তদশ সংশোধন) বিল-২০১৮’ বিল পাসের সুপারিশ করেছে আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি।

সংসদে  বুধবার (৬ জুন) এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন সংসদীয় কমিটির সদস্য শামসুল হক টুকু। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে  বুধবার (৬ জুন) সকালে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়। অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বের পর সংসদীয় কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। এর আগে গত ১০ এপ্রিল আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি সংসদে উত্থাপনের পর তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। জাতীয় সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে ১৯৭৩ সাল থেকে সংরক্ষিত নারী আসনের বিধান চালু হয়। এই আসন ১৫টি থেকে বেড়ে এখন ৫০-এ দাঁড়িয়েছে।  

সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদের (৩) দফায় সংশোধনীর প্রস্তাব করে বিলে বলা হয়েছে- ‘সংবিধান (সপ্তদশ সংশোধন) আইন-২০১৮ প্রবর্তনকালে বিদ্যমান সংসদের অব্যবহিত পরবর্তী সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ হইতে শুরু করিয়া ২৫ বৎসরকাল অতিবাহিত হইবার অব্যবহিত পরবর্তীকালে সংসদ ভাঙ্গিয়া না যাওয়া পর্যন্ত ৫০টি আসন কেবল মহিলা সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত থাকিবে এবং তাহারা আইন অনুযায়ী পূর্বোক্ত সদস্যদের দ্বারা সংসদে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির ভিত্তিতে একক হস্তান্তরযোগ্য ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হইবেন।’

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে- সংরক্ষিত মহিলা আসনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকার কারণে সমাজে সকল ক্ষেত্রে মহিলাদের অধিকতর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে।

সর্বশেষ সংশোধনী অনুযায়ী সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৫-এর দফা (৩)-এর বিদ্যমান বিধান অনুযায়ী বর্তমানে সংরক্ষিত মহিলা আসনের ১০ বছর মেয়াদ ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ শেষ হবে। সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে মেয়াদ বৃদ্ধি করা না হলে উক্ত সময় অতিবাহিত হওয়ার পর জাতীয় সংসদে মহিলাদের জন্য কোনো আসন সংরক্ষিত থাকবে না। সংরক্ষিত আসনের প্রয়োজনীয়তা এখনো বিদ্যমান রয়েছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্যদেরকে নিয়ে গঠন করতে হলে দশম সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় সংবিধানে এ সংক্রান্ত বিধান সংশোধন করা আবশ্যক।

প্রতিবেদন জমা : সংসদ অধিবেশনে আরো দুটি বিল পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তা পাসের সুপারিশ করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটি। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন ‘ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড বিল-২০১৮’-এর ওপর প্রতিবেদন জমা দেন। আর ‘আবহাওয়া বিল-২০১৮’ পাসের সুপারিশ করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া।

রিপোর্ট উত্থাপন : সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রথম ও দ্বিতীয় রিপোর্ট সংসদে উত্থাপন করেছেন কমিটির সভাপতি বেগম সিমিন হোসেন রিমি। প্রতিবেদনে সংসদীয় কমিটির কার্যক্রম বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!