• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সব অপারেটরে ন্যূনতম কলরেট ৪৫ পয়সা


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ১৩, ২০১৮, ০৮:১৭ পিএম
সব অপারেটরে ন্যূনতম কলরেট ৪৫ পয়সা

ঢাকা: দেশের সব টেলিকম অপারেটরকে অননেট (নিজেদের মধ্যে) ও অফনেট (অন্য অপারেটরে) ভয়েস কলের রেট মিনিটে ন্যূনতম ৪৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই রেট চালু করতে সবগুলো মোবাইল টেলিফোন অপারেটরকে নির্দেশনা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেশন কমিশন (বিটিআরসি)।

সোমবার (১৩ আগস্ট) অপারেটরগুলোকে পাঠানো এক চিঠিতে বিটিআরসি এই নির্দেশনা দেয়। দেশের যে কোনো টেলিফোন থেকে কল করলে এখন থেকে মিনিটে ৪৫ পয়সা কার্যকর করতে বলা হয়েছে। নিজস্ব গ্রাহকদের মধ্যে কল রেটে আগের তারতম্য এখন আর থাকছে না।

সরকারের এই সিদ্ধান্ত দেশের প্রায় ১৪ কোটি গ্রাহকের ওপর সরাসরি প্রভাব পড়বে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। গ্রাহকরা সুবিধা ভোগ করলেও এতে চাপে থাকবে অপারেটরগুলো।

গ্রামীণফোনের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈয়দ তালাত কামাল বিটিআরসির পক্ষ থেকে চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিটিআরসির পক্ষ থেকে সব অপরেটরে একই কলরেট রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ফলে নতুন নিয়মে জিপি থেকে জিপি এবং অন্য সব অপরেটরের কলরেটে একই হবে।

গ্রাহক সংখ্যায় দেশের বৃহত্তম এই মোবাইল অপারেটরের কর্মকর্তা মনে করছেন, নতুন সিদ্ধান্তে টেলিকম কোম্পানিগুলো কঠিন প্রতিযোগিতায় পড়বে। এ ক্ষেত্রে শুধু কলরেট দিয়ে গ্রাহক আকৃষ্ট করা যাবে না। নেটওয়ার্ক ও অন্য সব সেবার মান উন্নত করতে হবে।

বরি আজিয়াটার মুখোপাত্র ইকরাম কবীর বলেন, অফনেট-অননেটে কলের খরচ এক হয়ে যাচ্ছে। আমরা সরকারের নির্দেশনা মেনে কার্যক্রম শুরু করছি। এতে কোম্পানি বা গ্রাহক পর্যায়ে কী প্রভাব পড়তে পারে, এখনই বলা যাচ্ছে না।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সাবেক চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, ‘পৃথিবীর বহু দেশে একই কলরেট চালু আছে। ভিন্ন কলরেট থাকার কারণে ছোট অপারেটররা অনেক সময় আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছে। অফনেট কলেই তাদের আয়ের অনেক টাকা চলে যেত। নতুন এই সিদ্ধান্তে ছোট অপারেটরদের দাবির প্রতিফলন ঘটেছে।’

সব অপারেটরে এক  কলরেটে গ্রাহকের ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে— জানতে চাইলে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, দেশের ৮০ শতাংশ গ্রাহক সাধারণ বা নিম্নবিত্ত শ্রেণির। অর্থাৎ প্রায় ১২ কোটি গ্রাহকের খরচ যদি বাড়ে, তাহলে তা স্বাভাবিকভাবেই জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়াবে। গ্রাহক পর্যায়ে এর একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

নতুন এই সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক আখ্যা দিয়ে গ্রাহকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা মহিউদ্দীন আরও বলেন, ‘বিটিআরসি কখনই গ্রাহকের স্বার্থের কথা চিন্তা করে না। কারও সঙ্গে আলোচনা না করে এ ধরনের সিদ্ধান্তের আগে বিটিআরসির উচিত ছিল গণশুনানি করা। বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর আগে কিন্তু গণশুনানি হয়। এ ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করা উচিত বলে আমরা মনে করি।’

বর্তমানে বিটিআরসির নির্ধারণ করে দেয়া সর্বনিম্ন অননেট চার্জ প্রতি মিনিট ২৫ পয়সা ও অফনেট ৬০ পয়সা। সর্বোচ্চ চার্জ প্রতি মিনিটে ২ টাকা।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!