• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সবগুলো নদীর পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই


গাইবান্ধা প্রতিনিধি জুলাই ৮, ২০১৭, ০৯:৪৭ এএম
সবগুলো নদীর পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই

ফাইল ছবি

গাইবান্ধা: উজানের পাহাড়ি ঢল আর বৃষ্টিপাতে গাইবান্ধার সবগুলো নদনদীর পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ভাঙনের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় অসহায় হয়ে পড়ছেন নদী তীরবর্তী মানুষ।

ব্রহ্মপুত্র নদে অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার উত্তর উড়িয়াসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। মানুষের বাড়িঘর, আবাদি জমি কোন কিছুই রক্ষা পাচ্ছেনা ভাঙনের কবল থেকে। ফলে দীর্ঘ হচ্ছে নদী ভাঙা অসহায় মানুষের তালিকা।

ব্রহ্মপুত্র নদের থাবা থেকে জনপদগুলো রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে জরুরি প্রতিরক্ষার কাজ শুরু করলেও অসময়ের এই পদক্ষেপকে অনেকটা তামাশা বলেই মনে করেন উড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাতাব উদ্দিন।

তিনি বলেন, যে সময়ে কাজটা করলে আমাদের জনগণ উপকৃত হবে, আমরা উপকৃত হবো ঠিক সেই সময়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড তাদের পদক্ষেপটা নেন না।

ভাঙন ঠেকানোর কাজ বর্ষা মৌসুমে করা সম্ভব নয় বলে মনে করেন উত্তরাঞ্চল (রংপুর) পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী।

তিনি বলেন, নভেম্বর-ডিসেম্বরের দিকে কাজ শুরু হয় এবং ওইটা জুন মাসে গিয়ে মোটামুটি শেষ হয়। আর ফ্লাড ফাইটিং কিন্তু আলাদা। এটা আসলে বর্ষাকালেই করার অন্য সময়ে করার কোন সুযোগ নাই।

অবশ্য নদী ভাঙন প্রতিরোধে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানালেন গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া।

তিনি বলেন, এই এলাকাটাকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করা জন্য আমরা জরুরী ভিত্তিতে ২৭৫ কোটি টাকা ছিলো সেটা আবার ৩০০ কোটি টাকা একনেক থেকে পাশ করেছে। সুতরাং সরকার বসে নেই। সরকার কাজ করছে।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের শ্রীপুর থেকে সাঘাটা উপজেলার গোবিন্দপুর পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদের ডান তীরে ৭০ কিলোমিটার এলাকা ভাঙন প্রবণ। তার মধ্যে ৭টি পয়েন্টে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে । আর পানি উন্নয়ন বোর্ড ৫টি পয়েন্টে জরুরী প্রতিরক্ষার কাজ শুরু করেছে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!