• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সভাপতি শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের সম্পাদক


বিশেষ প্রতিনিধি অক্টোবর ২৩, ২০১৬, ০৫:১৯ পিএম
সভাপতি শেখ হাসিনা,  ওবায়দুল কাদের সম্পাদক

ঢাকা: উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের টানা অষ্টমবারের মতো সভানেত্রী পদে পুনর্নির্বাচিত হলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হলেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (২৩ অক্টোবর) দলের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে সর্বম্মতিক্রমে তাদের এ পদে নির্বাচিত করা হয়। বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে কাউন্সিলরদের উপস্থিতিতে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বর্তমান কমিটি বিলুপ্তির ঘোষণা করেন। এরপর শুরু হয় নির্বাচনী অধিবেশন।

এসময় দলের সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। প্রস্তাবটি সমর্থন করেন পূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। এরপর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ওবায়দুল কাদেরের নাম প্রস্তাব করেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। এ প্রস্তাব সমর্থন করেন জাহাঙ্গীর কবির নানক। এর মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত হয়ে যায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদটি।

আগের কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফের স্থান পেয়েছেন সভাপতিমণ্ডলীতে। এতে যারা নতুন স্থান পেয়েছেন তারা হলেন- নুরুল ইসলাম নাহিদ, আব্দুর রাজ্জাক, ফারুক খান, আবদুল মান্নান খান, রমেশ চন্দ্র সেন ও পীযূষ ভট্টাচার্য (যশোর)। সভাপতিমণ্ডলীতে আগের মতোই থাকছেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, কাজী জাফর উল‌্যাহ, সাহারা খাতুন ও ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন মাহাবুব-উল আলম হানিফ, দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক। এর সঙ্গে নতুন যুক্ত হয়েছেন আব্দুর রহমান। কোষাধ‌্যক্ষ পদে কোনো পরিবর্তন হয়নি। সেই এন এইচ আশিকুর রহমানই থাকছেন নতুন কমিটিতেও।

নোয়াখালীর সন্তান ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে আগের দিনই নানা আলোচনা চলছিল। শীর্ষ নেতারা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তার সম্ভাবনার কথা বলছিলেন। শেষ অবধি সেটাই সত্য হয়েছে। ওবায়দুল কাদের কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পরে তিনি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ লাভ করেন। সর্বশেষ সভাপতিমণ্ডলীর সারিতে ওঠেন। এর মধ্যে ২০১২ সালে দলের জাতীয় সম্মেলনের আগেও তিনি সাধারণ সম্পাদক পদ পাচ্ছেন বলে গুঞ্জন ওঠেছিল। এবারও একই ঘটনা ঘটেছে। তবে এবারের গুঞ্জন সত্যে পরিণত হয়েছে।

শনিবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুরু হয় আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলন। সকাল ১০টায় জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে সম্মেলন শুরু হয়। শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে দুইদিন ব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দেশাত্মবোধক গানে উদ্দীপিত হয়ে ওঠেন সম্মেলনে যোগাদানকারী অতিথিরা। এরপর শুরু হয় আওয়ামী লীগের নেতাদের বক্তব্য। বাংলাদেশ ও রাজনৈতিক দলের প্রশংসা করে বক্তব্য দেন বিদেশি অতিথিরাও।

প্রথম পর্ব শেষ হয় সভাপতির বক্তব্যের মধ্য দিয়ে। দুপুরের বিরতির পর সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয় বিকেলে। দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে কাউন্সিলরদের নিয়ে শুরু হয় নির্বাচনী অধিবেশন।

এদিকে, ক্ষমতাসীন দলের জাতীয় সম্মেলন ঘিরে রাজধানী সেজে উঠেছে বর্ণিল সাজে। পুরো নগরীতে সৃষ্টি হয়েছে উৎসবমুখরতা। বিভিন্ন স্থানে লাগানো হয়েছে রঙের রঙের ব্যানার পোস্টার। আর সম্মেলন উপলক্ষে পুরো রাজধানীতে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিভিন্ন সড়কে নিয়্ন্ত্রণ করা হচ্ছে যান চলাচল। প্রথম দিন সকাল থেকেই হাজারো নেতাকর্মী ছুটে আসেন সম্মেলন স্থলের দিকে। কানায় কানায় ভরে ওঠে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। হাজারো কাউন্সিলর, ডেলিগেট ও আমন্ত্রিত অতিথিদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে পুরো উদ্যোন আর আশপাশ এলাকা।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি

Wordbridge School
Link copied!