• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সমাবেশের মঞ্চে বেগম জিয়া


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ১২, ২০১৭, ০৩:৩৩ পিএম
সমাবেশের মঞ্চে বেগম জিয়া

ঢাকা: জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে যোগ দিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বিকেল সোয়া ৩ টার দিকে তিনি সমাবেশের মঞ্চে ওঠেন। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন বেগম জিয়া।

প্রায় দেড় বছর পর প্রকাশ্য সমাবেশে বক্তব্য দেবেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ ও উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। এই সমাবেশে খালেদা জিয়া গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বার্তা দেবেন বলে জানিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা।

রোববার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুপুর পৌনে ২টায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে বিএনপির সমাবেশ শুরু হয়। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন।

দুপুরের পর থেকেই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মিছিল নিয়ে প্রবেশ করতে শুরু করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে লোকজনের সমাগম, ভরে উঠছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। ঢাকা ও এর আশপাশের জেলাগুলো থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ হলেও নেতাকর্মীরা উদ্যানের বাইরের মূল সড়কে অবস্থান নিয়ে মিছিল করছেন।

সমাবেশকে ঘিরে শাহবাগ, কাকরাইল, খামারবাড়ি, টিএসসি মোড়, মৎস্য ভবন, দোয়েল চত্বর, পলাশী এসব এলাকা দিয়ে দলে দলে মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। মিছিল নিয়ে আসার সময় সবার হাতেই ব্যানার, ফেস্টুন শোভা পাচ্ছে।

এছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দলে দলে নেতাকর্মীরা সমাবেশের যোগ দিতে ঢাকায় এসেছেন। যদিও বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্য জেলা থেকে পরিবহন সংকট সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (১২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশস্থলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির আহমেদ রিজভী অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন, রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশকে পন্ড করতে সরকার আশপাশের জেলাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ঢাকামুখী গণপরিবহন বন্ধ করে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তাতে কোনো কাজ হবে না। বিএনপির সমাবেশমুখ জনস্রোত ঠেকাতে পারবে না সরকার।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সমাবেশে বিএনপির চেয়ারপারসন আগামী জাতীয় নির্বাচন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, গণতন্ত্রহীনতা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, রোহিঙ্গা ইস্যুসহ সাধারণ মানুষের সমস্যাসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে ভাষণ দেবেন।

শনিবার (১১ নভেম্বর) সকালে ২৩টি শর্ত সাপেক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে বিএনপিকে অনুমতি দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এর পরপরই নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। 

রোববার (১২ নভেম্বর) বিকাল ৫টার মধ্যে সমাবেশ শেষ করতে হবে- এটা অন্যতম প্রধান শর্ত। এছাড়া সমাবেশ স্থল ও এর আশপাশে বিএনপিকেই তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে বলেছে ডিএমপি। 

সমাবেশের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতের করাও অন্যতম প্রধান শর্ত। বিএনপির নেতা-কর্মীদেরকে মিছিল নিয়ে অনুষ্ঠানে না আসতেও বলেছে ডিএমপি।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ১৯ মাস পর রাজধানীতে জনসভার আয়োজন করতে যাচ্ছে বিএনপি। এ সমাবেশের মাধ্যমে নিজেদের জনপ্রিয়তা বা জনসমর্থনের বিষয়টি জানান দিতে চায় দলটি। সর্বশেষ, ২০১৬ সালের ১ মে শ্রমিক দিবস উপলক্ষে শ্রমিক সমাবেশ করে বিএনপি। 

এর আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। এর আগে ওই বছরের ৫ জানুয়ারি নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার সুযোগ পায় দলটি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের দুই বছর পূর্তিতে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে সেই সমাবেশ করে বিএনপি। এর আয়োজন করে জাতীয়বাদী শ্রমিক দল।

সোনালীনিউজ/জেডআরসি

Wordbridge School
Link copied!