• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

সমালোচনার ঘূর্ণিঝড় ‘এক দো তিন’ নিয়ে (ভিডিও)


বিনোদন ডেস্ক  মার্চ ২২, ২০১৮, ০১:২৮ পিএম
সমালোচনার ঘূর্ণিঝড় ‘এক দো তিন’ নিয়ে (ভিডিও)

রিমেক গানটিতে জ্যাকুলিন

ঢাকা: ‘এক দো তিন’ গানের রিমেক নিয়ে রীতিমতো সমালোচনার ঘূর্ণিঝড় বয়ে যাচ্ছে! সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে তো ধুয়ে ফেলছেন দর্শক-সমালোচকরা। ‘তেজাব’ ছবির ‘এক দো তিন’ গানে নেচেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত। আর সেটির নতুন রিমেকের সঙ্গে নেচেছেন এ প্রজন্মের নায়িকা জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ। গত ১৯ মার্চ এর ভিডিও প্রকাশের পর থেকে চলছে ব্যাপক সমালোচনা।

টুইটার ব্যবহারকারীরা গানটির ভিডিওকে বলছেন, ‘কুরুচিপূর্ণ’। কারও মন্তব্য, এই ভিডিও দেখলে নাকি বমি চলে আসে! কেউ মনে করেন, এটি ‘আবর্জনা’ ছাড়া আর কিছুই না। এমনও বলা হচ্ছে, ‘ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে রিমেক’।

নায়িকা জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ

একজন টুইটে লিখেছেন, ‘রিমেকে জ্যাকুলিনকে দেখে আমার মা রাগে-ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন।’ আরেকজনের বিদ্রুপাত্মক পরামর্শ, ‘বলিউডের নিন্দিত রিমেক ট্রেন্ডকে ডুবিয়ে দেওয়ার জন্য এই জঘন্য গানটির প্রশংসা করতে পারি আমরা।’ আরেকজনের প্রশ্ন, ‘প্রিয় বলিউড, আমার শৈশবের কীইবা বাকি রেখেছো? কেনো রিমেকের নামে এমন বিকৃতি ঘটাও?’

৫০ বছর বয়সী মাধুরীর অন্ধভক্তদের মনে হয়েছে, ‘এক দো তিন’ রিমেকটি নিন্দনীয় ও অবমাননাকর। তাদের দাবি, ধ্রুপদী ব্যাপার আবার ঘটানোর চেষ্টা না করাই ভালো। এ রিমেকের মধ্য দিয়ে মাধুরীকে অবমাননা করা হয়েছে। তারা ভাবছেন, এর মাধ্যমে প্রিয় অভিনেত্রীর সব কীর্তি ধুলায় মিশে গেছে!
রিমেক গানটিতে জ্যাকুলিনরসিকতা করে একজন মাধুরীর বন্দুক তাক করে রাখা একটি স্থিরচিত্র পোস্ট করেছেন।

ক্যাপশনে লেখা, ‘এক দো তিন দেখার পর মাধুরী!’ কঠোর সমালোচনা করতে গিয়ে একজন লিখেছেন, ‘জ্যাকুলিনের চেয়ে মাধুরীর পায়ের নখের অভিব্যক্তিও ভালো ছিল!’ মাধুরী কেন অনবদ্য ছিলেন সেই ব্যাখ্যা আছে একটি টুইটে, ‘অভিব্যক্তিতে গল্পের অন্য চরিত্রগুলোর আকাঙ্ক্ষাকে ছাপিয়ে যেতে পেরেছেন মাধুরী। দর্শকের মন জয়ের চেষ্টা না করে মনের আনন্দে নেচেছিলেন তিনি। কিন্তু জ্যাকুলিনের রিমেকে ঘটেছে উল্টোটা।’

‘তেজাব’ ছবির পরিচালক এন. চন্দ্রারও ভালো লাগেনি রিমেক ভিডিওটি। উল্টো তিনি ভীষণ হতাশ। তার ভাষ্য, ‘মাধুরী দীক্ষিতের নাচ জ্যাকুলিনকে দিয়ে করানো মানে সেন্ট্রাল পার্ককে বোটানিক্যাল গার্ডেনে পরিণত করা। তারা এটা ভাবলো কিভাবে!’
‘সেভ দ্য ক্ল্যাসিকস’ হ্যাশট্যাগসহ একজন পরামর্শ দিয়েছেন, ‘বাঘি টু’ থেকে এই গান ও ভিডিও বাদ দেওয়া উচিত নির্মাতাদের। এমন কিছু বানানো হয়েছে ভুলে গেলেই ভালো। 

 

সোনালীনিউজ/বিএইচ
 

Wordbridge School
Link copied!