• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘সম্ভাবনার হাতছানি চারকোল’


নিজস্ব প্রতিবেদক  জুন ১৫, ২০১৬, ০৯:৪৫ পিএম
‘সম্ভাবনার হাতছানি চারকোল’

বাংলাদেশে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে পাটকাঠি থেকে অ্যাকটিভেটেড চারকোল। এতে কৃষকরা পাট উৎপাদনে আবারও আগ্রহী হবে। এভাবেই সোনালী আঁশের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী জনাব মির্জা আজম।

বুধবার (১৫ জুন) চারকল মালিকদের সাথে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী মিজা আজম।

সভায় চারকোলের বিষয়ে জানানো হয়, দেশে প্রথম ২০১২ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে পাটকাঠি থেকে অ্যাকটিভেটেড চারকোল উৎপাদন শুরু হয়। ওই বছরই সর্বপ্রথম চীনে এ পণ্য রফতানি করা হয়। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চারকোলের চাহিদা রয়েছে। দেশে এ পণ্য উৎপাদনের ব্যাপ্তি বাড়লে আগামীতে জাপান, ব্রাজিল, তুর্কিস্থান, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, কানাডা, মেক্সিকোসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চারকোল রফতানি সম্ভব হবে।

বর্তমানে জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলাতে বাণিজ্যিকভাবে চারকোল উৎপাদন শুরু হয়েছে।

মতবিনিময় সভায় চারকোল মালিকদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, চারকোল শিল্পকে একটি উদীয়মান শিল্প হিসেবে ঘোষণা দিতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও পাটজাত পণ্য হিসাবে ২০ ভাগ ক্যাশ ইনসেনন্টিভ পাওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এ শিল্প বিকাশে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অর্ন্তভূক্ত বা সহযোগী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের সুযোগ দিতে হবে। এ শিল্পের জন্য দ্রুত পৃথক নীতিমালা তৈরি করতে হবে। এ ছাড়া এ শিল্পের জন্য সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতা ও ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ কাদের সরকার, গোপালকৃষ্ণ ভট্টাচার্য্য (অতিরিক্ত সচিব), বিজেএমসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হুমায়ূন খালেদ, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মো. রেজাউল কাদের, আবু ছাইদ শেখসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বর্তমানে বিদেশে চারকোল দিয়ে তৈরি হচ্ছে- ফেসওয়াশ, ফটোকপিয়ারের কালি, পানির ফিল্টার, বিষ ধ্বংসকারী ওষুধ, জীবন রক্ষাকারী ও দাঁত পরিষ্কারের ওষুধ। এছাড়া বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনে এ কার্বন ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ১০ থেকে ১২টি চারকোল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলো হল- সানবিম কর্পোরেশন, মাহফুজা এন্ড আহান এন্টারপ্রাইজ, জামালপুর চারকোল লিমিটেড ও রিগারো প্রাইভেট লিমিটেড।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!