• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকারি সহায়তা বঞ্চিত সমুদ্রে নিখোঁজ জেলে পরিবার


এম এ আজীম, বরগুনা থেকে মে ৩১, ২০১৭, ১১:৪১ এএম
সরকারি সহায়তা বঞ্চিত সমুদ্রে নিখোঁজ জেলে পরিবার

বরগুনা: পাথরঘাটা উপজেলার খলিফারহাট গ্রামের রানি বেগম, ৩ বছর আগে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে স্বামী ও ২ সন্তান। প্রতিদিন রান্নাঘরের চুলা জ্বালাতে হিমসিম খেতে হয় তাকে। এমন অবস্থা উপজেলার অনেকেরই, যারা স্বজনের লাশ খুঁজে না পাওয়ায় সব সহায়তা থেকেও বঞ্চিত।

গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে নিহত জেলেদের কিছু পরিবার সহায়তা পেলেও নিখোঁজ হওয়া জেলে পরিবার সরকারিভাবে কোন সহায়তা পাচ্ছেনা। আর কতজন জেলে নিখোঁজ রয়েছে তার কোন সঠিক তথ্য নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে। পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি না থাকায় বছরের পর বছর ধরে অভাব অনটনে দিন কাটাচ্ছে শতাধিক পরিবার। মৎস্য বিভাগ বলছে, একমাত্র মৃতদের সহায়তা দিতে পারেন তারা।

প্রতিদিন বরগুনাসহ উপকূল থেকে শতাধিক ট্রলার গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়। প্রতিটি ট্রলারে ১০ থেকে ১৫ জন জেলে সপ্তাহব্যাপী গভীর সমুদ্রে মাছ শিকার করে। প্রায়ই মাছ ধরা অবস্থায় ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল ও দুর্যোগের কবলে পড়ে অনেক জেলে নিখোঁজ হয়। এসব ঘটনায় মাঝে মধ্যে দু’একজনের লাশ পাওয়া গেলেও অধিকাংশই নিখোঁজ থাকে।

নিখোঁজদের স্বজনরা বলেন, আজ পর্যন্ত আমরা কোন সাহায্য পেলাম না। খবরও পেলাম না। এখন আমরা কোথায় যাব। কি করবো!

এদিকে নিখোঁজ জেলেদের খুঁজে বের করার ক্ষেত্রেও প্রশাসন কোন সহায়তা করেনা বলে দাবি মৎস্যজীবী নেতাদের।

ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি বলেন, বহুজন নিখোঁজ হয় ট্রলার ডুবে। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন খোঁজ নেওয়া হয় না। তাদের তালিকা থাকা দরকার কত জেলে নিখোঁজ আছে।

তবে মৎস্য বিভাগ বলছে, মৃত বা জীবিত নিশ্চিত না হওয়ায় নিখোঁজদের পরিবারকে সহায়তা দেয়া যায়না।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, যারা সাগরে বা নদীতে মাছ ধরতে যেয়ে মারা যায়, সেই পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়। নিখোঁজদের পরিবারের জন্য কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি।

মৎস্য বিভাগের কাছে হিসাব না থাকলেও ট্রলার মালিক সমিতির তালিকা অনুযায়ী ২০০ বেশি জেলে নিখোঁজ রয়েছে জেলায়।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!