• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সরঞ্জামের অভাবেই বেড়েছে প্রাণহানি?


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ১৮, ২০১৮, ০৭:২৮ পিএম
সরঞ্জামের অভাবেই বেড়েছে প্রাণহানি?

ঢাকা: নেপালের সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণের অভাবেই ইউএস-বাংলার বিমান দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শনিবার (১৭ মার্চ) দেশটির ইংরেজি দৈনিক দ্য হিমালয়ান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অগ্নিনির্বাপণকর্মীদের যথাযথ সরঞ্জাম থাকলে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানের আরো আরোহীকে বাঁচানো সম্ভব হতো। উদ্ধারকর্মীরা পত্রিকাটিকে এ তথ্য জানিয়েছে।

উদ্ধার কাজে অংশ নেওয়া এক অগ্নিনির্বাপণকর্মী জানান, অগ্নিনিরোধক পোশাক না থাকায় তারা আগুনের ভেতর প্রবেশ করতে পারেননি। এ কারণে আগুনে আটকা পড়া আরোহীদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ওই কর্মী বলেন, ‘অ্যালুমিনিয়ামের পোশাকের অভাবে আমরা আগুনের ভেতরে না গিয়ে আধঘণ্টার বেশি সময় ধরে চেষ্টার পর পুড়ে যাওয়া অংশের কাছে পৌঁছাই।’

জীবিত উদ্ধার হওয়া ২২ জনের বেশিরভাগকেই আগুন না লাগা অংশ থেকে উদ্ধার করা হয় বলেও জানান তিনি। আরেক কর্মী জানান, মূলত অগ্নিকাণ্ড থেকে বেরিয়ে আসতে পারা লোকদেরই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

দেশটির সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্মকর্তারাও জানিয়েছেন, অগ্নিনির্বাপণকর্মীরা শুধু অগ্নিকাণ্ড থেকে দূরে আসতে পারা লোকদেরই উদ্ধার করতে পেরেছেন। তারা বলেন, অগ্নিনির্বাপণকর্মীরা আগুনের ভেতরে যেতে পারলে আরো জীবন বাঁচানো সম্ভব হতো।

ত্রিভুবন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত সোমবার দুপুর ২টা ১৮ মিনিটে বোম্বারডিয়ার ড্যাশ-৮ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিকাল ৩টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে এবং ৫টা ৪৫ মিনিটে সব দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়।

দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরা শাহরিন আহমেদ (২৯) জানান, তিনি যাত্রীদের পুড়তে, চিৎকার করতে ও পড়ে যেতে দেখেছেন। ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটি টিচিং হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, লাশের ময়নাতদন্তে দেখা গেছে বেশিরভাগ আরোহীই বিষাক্ত ধোঁয়া ও দম বন্ধের কারণে মারা গেছেন। আগুনের মধ্যে প্রবেশ করতে পারলে তাদের বাঁচানো যেত বলে মত তাদের।

সোনালীনিউজ/জেএ

Wordbridge School
Link copied!