• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
তীব্র নদী ভাঙন

সর্বহারা আতঙ্ক শুরু ঝালকাঠিতে


মো. আমিনুল ইসলাম, ঝালকাঠি মে ২৩, ২০১৮, ১০:০৮ এএম
সর্বহারা আতঙ্ক শুরু ঝালকাঠিতে

ঝালকাঠি: জেলায় বর্ষা মৌসুম আসার আগেই তীব্র হয়েছে নদী ভাঙন। সুগন্ধা, বিষখালী এবং গাবখান নদীর ভাঙনে ইতোমধ্যেই বিলীন হয়ে গেছে অসংখ্য বাড়ি-ঘর ও ফসলি জমি।

ভাঙনের মুখে রয়েছে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদরাসাসহ বিভিন্ন স্থাপনা। জেলার বিভিন্ন স্থানে বেড়ি বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করে মরিচ, মুগ, ছোলা বুটসহ বিভিন্ন ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন রোধে মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ চেয়ে পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে।

ভাঙন এলাকার জন প্রতিনিধিসহ কয়েকজন বলেন, ঝালকাঠিতে বর্ষা আসার আগেই সুগন্ধা, বিষখালীসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। সেই সাথে নদী ভাঙনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে সুগন্ধা ও বিষখালীসহ জেলার বিভিন্ন নদ-নদীর ৮টি পয়েন্টে মোট ১০ কিলোমিটার বেড়িবাধ ভেঙ্গে নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি, বসতবাড়ি সহ বিভিন্ন স্থাপনা।

মাত্র তিন বছর আগে দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দেউরি সাইক্লোন সেলটার কাম প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি এখন বিষখালীর ভাঙনের মুখে। যে কোন সময়ে এটি নদী গর্ভে বিলীন হতে পারে।

অপরদিকে নলছিটি শহরের বেশ কয়েকটি এলাকায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও ওই উপজেলার ভবানীপুর লঞ্চ ঘাট, স্কুল, বাজার, মসজিদ, বাদুরতলা বাজার, হদুয়া দরবার শরীফ, বৈশাখিয়া স্কুল এবং মাদরাসা, চাঁদপুরা প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অসংখ্য বসতবাড়ি ও ফসলি জমি ভাঙনের মুখে রয়েছে।

এ ব্যাপারে ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাইনুল ইসলাম জানান, তারা ইতোমধ্যে কয়েকটি প্রকল্প প্রস্তাব মন্ত্রনালয়ে পাঠিয়েছে। বরাদ্দ পেলেই ভাঙন রোধের পদক্ষেপ নেয়া হবে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!