• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সহজেই সারিয়ে তুলুন ১০ রোগ


স্বাস্থ্য ডেস্ক সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৬, ০৫:৩০ পিএম
সহজেই সারিয়ে তুলুন ১০ রোগ

নাক বন্ধ, দাঁতে ব্যথা, পিরিয়ডের অস্বস্থি এরকম নানান অসুস্থতা সারনোর জন্য রয়েছে সনাতন পন্থা। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায় দশটি রোগের সহজ কিছু সমাধান সম্পর্কে। এখানে তা উল্লেখ করা হল।

দাঁত ব্যাথা-
তাৎক্ষনিকভাবে দাঁত ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে আক্রান্ত স্থানে ছোট এক টুকরা পেঁয়াজ রেখে দিন। পেঁয়াজের অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান সংক্রমণ থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে।

ব্রণ-
এক টেবিল-চামচ ধনে অথবা পুদিনা পাতার রসের সঙ্গে এক চিমটি হলুদের গুঁড়া মেশাতে হবে। মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে ব্রণের উপর সারারাত এই রস লাগিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে পার্থক্য নিজেই বুঝতে পারবেন।

মুখের আলসার বা ঘা-
নারিকেলের দুধ খাওয়া বেশ উপকারি। নারিকেলের দুধ মুখের আলসার কমাতে সাহায্য করে। এমনকি এটি অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান হিসেবেও কাজ করে। কেউ চাইলে নারিকেল থেকে দুধ আলাদা করে তা দিয়ে কুলকুচা করতে পারেন। এটি মুখের আক্রান্ত স্থানকে স্পর্শ করে রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে।

ইউরিন ইনফেকশন-
সাধারণত যথেষ্ট পরিমাণ পানি পান না করলে এবং অপরিষ্কার বাথরুম বা ‘পাবলিক টয়লেট’ ব্যবহার করলে যে কোনো বয়সের মানুষেরই ইউরিন ইনফেকশন হতে পারে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য দিনে একবার ডাবের পানি অথবা প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর গরম পানি পান করা যেতে পারে।

কোষ্ঠকাঠিন্য-
এই সমস্যা দেখা দিলে এক টেবিল-চামচ মেথি পানিতে ভিজিয়ে তা সকালে ঘুম থেকে উঠে ও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে খেতে হবে। অথবা এক গ্লাস গরম পানির সঙ্গে এক চা-চামচ ভাজা জোয়ান ও এক চিমটি লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন।

নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ-
দাঁতের সংক্রমণ, কাঁচারসুন বা পেঁয়াজ খেলে, ধূমপান অথবা মদ্য পান করার ফলে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ হতে পারে। এই সমস্যা সমাধান করার জন্য খাওয়ার পরে একটি লবঙ্গ অথবা খানিকটা আদা চিবাতে পারেন। স্বাদ বাড়ানোর জন্য সঙ্গে সামান্য মধু অথবা গুঁড় মাশাতে পারেন।

সংক্রমিত কান-
কানের সংক্রমণ দেখা দিলে কাঁচারসুন কানে গুজে রাখার মাধ্যমে তা দূর করা যায়।

বন্ধ নাক-
খুলতে গোলমরিচ ভেজে তার ধোঁয়া নাক দিয়ে গ্রহণ করুন। এতে বন্ধ নাক খুলে যাবে।

ডায়রিয়া-
গ্রিন টি’র আগে বাসায় তৈরি লাল চা বা লিকার চা খাওয়ার বেশ প্রচলন ছিল। এক কাপ গরম পানির মধ্যে এক চিমটি চা-পাতা দিয়ে চিনি ছাড়া খান। বাড়তি স্বাদ যোগ করতে চাইলে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মেশাতে পারেন। এইভাবে দিনে দুতিনবার খেলে উপকার পাবেন।

পিরিয়ডের ব্যথা-
পাঁচ/ছয়টি কিশমিশ গরম পানিতে আধ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। খালি পেটে এই পানি পান করুন ও কিশমিশ খান। এতে ব্যথা কমে যাবে। এছাড়াও চাইলে এক কাপ গরম পানিতে এক চতুর্থাংশ পরিমাণ দারুচিনির গুঁড়া মিশিয়ে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে খেতে পারেন। এতে পিরিয়ডের ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!