• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেবেন খালেদা


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৭, ০১:৫৯ পিএম
সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেবেন খালেদা

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি অংশ নেবে। নীতিনির্ধারকরা বলছেন, আগামী নির্বাচনে ফলাফল যা-ই হোক না কেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে বলে ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় নির্বাচনে অংশ নিতে এখন থেকেই সব কূল রক্ষা করে চলার নীতি নিয়েছে তারা।

আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়টি যখন চূড়ান্ত, তখন নতুন নির্বাচন কমিশন বিষয়ে সতর্ক মন্তব্য আর পরবর্তী নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টির দাবির প্রশ্নে বেশ কৌশলে এগুতে চায় দলটি। দলীয় সূত্রমতে, ‘নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার’ দাবি থেকে সরে এসে বিএনপি এখন সামনে আনছে নির্বাচনকালীন ‘সহায়ক সরকার’ ব্যবস্থা।

এ প্রসঙ্গে দলের দায়িত্বশীল এক নেতা বলেন, রাষ্ট্রপতির তরফ থেকে ইতোমধ্যে ‘নতুন নির্বাচন কমিশন’ গঠন করা হয়েছে। এ বিষয়ে দলের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য ও নির্বাচনকালীন ‘সহায়ক সরকার’ ব্যবস্থার রূপরেখা শিগগিরই তুলে ধরা হবে। ওই নেতা নিশ্চিত করেন, আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যেই দেশবাসীর সামনে খোদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ‘সহায়ক সরকার’ ব্যবস্থার রূপরেখা দেবেন।

বিএনপির একাধিক নীতিনির্ধারকের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, ইসি নিরপেক্ষ হোক না হোক এর পাশাপাশি একটি নির্বাচনকালীন ‘সহায়ক সরকার’ দরকার। যে সরকার জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় ইসিকে সব ধরনের সহযোগিতা দেবে।

বিএনপির একজন ভাইস চেয়ারম্যান নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সম্প্রতি রাষ্ট্রপতির সার্চ কমিটি ঘোষণার পর বিএনপি সে কমিটি নিয়ে মৃদু সমালোচনার মতো যে কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে, একইভাবে সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাষ্ট্রপতি যে নতুন ইসির অনুমোদন দিয়েছেন তা নিয়েও একই অবস্থান নিতে পারে।

সিনিয়র এই নেতা বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ অনুযায়ী পরপর দু’বার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির নিবন্ধন বাতিল হওয়ার বিষয়টিও তাদের বিবেচনায় রয়েছে। তাই নতুন ইসি নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক মন্তব্য না করলেও বিরোধিতা করা হবে না।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে দলটির অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বিএনপি নির্বাচনমুখী একটি রাজনৈতিক দল। আগামীকাল জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও, সেই নির্বাচনে অংশ নিতে আপত্তি নেই বিএনপির। তবে সেটি নির্বাচন হতে হবে, নির্বাচনের নামে তামাশা হলে চলবে না।

শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ছাড়া দেশের বর্তমান সংকট নিরসন সম্ভব নয় মন্তব্য করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বিএনপি সংঘাত-হানাহানি চায় না, শান্তিপূর্ণ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায়। যে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের চলমান গণতন্ত্রের সংকট কেটে যাবে। তিনি আরো বলেন, বিএনপি যেহেতু একটি গণতান্ত্রিক দল। এ ক্ষেত্রে আগামী জাতীয় নির্বাচন যখনই হোক না কেন, সেই নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি অবশ্যই নেবে।

বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, কার্যত দেশে একটি রাজনৈতিক সংকট চলছে, সেই সংকট সমাধানের জন্য সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। দলের অপর এক নেতা নতুন নির্বাচন কমিশন ইস্যুতে আন্দোলনের পক্ষে মত দেন। তিনি বলেন, এ ইস্যুতে জনমত তৈরি করতে পারলে সরকার চাপে থাকবে। ভবিষ্যতে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের দাবি আদায়ে তা কাজে লাগতে পারে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নতুন ইসি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। দলীয় লোকদের দিয়ে ইসি গঠন করা হয়েছে বলে তিনি মনে করছেন। এ ব্যাপারে সিনিয়র নেতাদের জনমত তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণী পেশার সঙ্গে মতবিনিময়ের পরামর্শ দেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!