• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সাংবাদিক ধ্রুবর মামলা প্রত্যাহারে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি


মিডিয়া ডেস্ক জুন ১৫, ২০১৭, ০২:৫৩ পিএম
সাংবাদিক ধ্রুবর মামলা প্রত্যাহারে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

ঢাকা : প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে বিডিনিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক গোলাম মুজতবা ধ্রুব`র বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় এক বিচারকের মামলা দায়েরের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন।

রোববারের (১৮ জুন) মধ্যে ধ্রুব’র মামলা প্রত্যাহার করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘সাধারণ সাংবাদিকবৃন্দ’র ব্যানারে সাংবাদিক ধ্রুবর বিরুদ্ধে বিচারকের দায়ের করা মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

এ ছাড়া মানববন্ধন থেকে আগামী রোববার তথ্য মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

মানববন্ধনে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন বাদশা বলেন, এটি সাংবাদিক সমাজের বিরুদ্ধে মামলা। ৫৭ ধারা বাতিল না হলে কলম পেশা হুমকির মুখে পড়বে। অবিলম্বে এই কালো আইন বাতিল করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা অনেকদিন ধরেই ৫৭ ধারা বাতিল করার দাবি করে আসছি। ধ্রুব`র মামলা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি তার পাশে থাকবে।

ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্র্যাব) সভাপতি আবু সালেহ আকন বলেন, গত চার মাসে তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ৫৭ ধারা শুধুমাত্র সাংবাদিকদের নিপীড়ন-নির্যাতন করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এর আগে এই ধারা রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, মাদক ব্যবসায়ীরা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করেছে।

মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আবু সালেহ আকন বলেন,`এখন সবশেষে বিচারকও এই কালো আইনে মামলা দিলেন। তাহলে সাংবাদিকেরা কোথায় যাবে!

হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আগামী দু`দিনের মধ্যে এই মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। না হলে সাংবাদিক সমাজ রাজপথ নামতে বাধ্য হবে। আর এ জন্য উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতির দায়ভার সংশ্লিষ্ট বিচারককেই নিতে হবে।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের হেড অব নিউজ ও ক্র্যাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন-উর রশীদ বলেন, সাংবাদিকের বিরুদ্ধেও মামলা করা যায়। তবে সেটা ন্যায়সঙ্গত ও যৌক্তিক হতে হবে। ৫৭ ধারায় মামলা করার উদ্দেশ্য হচ্ছে, সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা। ৫৭ ধারা কালো আইন। এ আইনে একজন বিচারক কীভাবে মামলা করেন!

মানববন্ধনে ৫৭ ধারা বাতিল, ধ্রুব’র বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলা নিঃশর্ত প্রত্যাহার করে বিচারককে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক সালিম সামাদ, মানবাধিকার সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক খায়রুজ্জামান কামাল, নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু, ৭১ টিভির সাংবাদিক নাদিয়া শারমিনসহ অনেকে।

সোনালীনিউজ/জেডআরসি/এমটিআই

 

Wordbridge School
Link copied!