• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
সংবাদ প্রকাশের জের

সাংবাদিক পরিবারকে অমানুষিক নির্যাতন


নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ২৩, ২০১৬, ০৯:৩৩ পিএম
সাংবাদিক পরিবারকে অমানুষিক নির্যাতন

সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সাংবাদিক পরিবারের ওপর অমানসিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৭ জুলাই রোববার দুপুরে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের মধ্যেরচরের আরশীনগরে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ সূত্র জানা যায়, আরশীনগরের ইউপি সদস্য হানিফের বিরুদ্ধে দৈনিক আমার সংবাদের বশির হোসেন খান একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এর জের ধরে ইউপি সদস্যর ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা ভুল করে জনতার নিউজ২৪ ডটকমের স্টাফ রিপোর্টর বশির আহমেদ নামের আরেক সংবাদকর্মীর পরিবারের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ হামলায় তার অসুস্থ বৃদ্ধা বাবাকে রড দিয় পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ হামলার ঘটনায় তিন নারীসহ আরো ৯ জনকে আহত করে সন্ত্রাসীরা।

অভিযোগে সূত্রে আরো জানা যায়, সন্ত্রাসীরা ওই বৃদ্ধা বাবাকে ও তার বড় ছেলেকে টেনে হেচরে রাস্তায় নিয়ে প্রকাশ্যে আমির মাদবর, তার দুই ছেলেসহ আরিফ, দিদার, শুক্কুরআলী, রতন, মালেক, মানিক মিলে রড ও ষ্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।

বশির আহমেদ অভিযোগ করেন, সন্ত্রাসীরা গত ১৭ জুলাই রোববার দুপুরে তার অসুস্থ বৃদ্ধা বাবা আব্দুল রাজ্জাক (৭৮) নামাজ পরে বাসায় ফেরার সময় তার পিছনে দুটি মেয়ে শিশুকে (এক জনের বয়স ৫, অন্যজনের ৭) পাঠায়। তার বাবা বাসায় ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই মেয়ে দুটি বাসায় ঢুকে ছাদে চলে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাহির থেকে একজন গেট বন্ধ করে দেন।

বাহিরে থাকা ইউপি সদস্যর লোক মোল্লা জুবায়েরসহ আরো লোকজন জড়ো করে। এসময় বাসায় কেউ না থাকায় অসুস্থ বৃদ্ধ বাবাকে রড দিয় পিটাতে শুরু করে।  পরে খবর পেয়ে তার ছোট ছেলে সবুজ হোসেন, বড় ছেলে নাসির হোসেন ও মেয়ে নাসিমা চলে আসেন। এ ঘটনায় দেখে তার বোন বাধা দিলে তাকেও মারধর করেন। পরে তারা পাশের বাসায় আশ্রয় নিলে সেখানেও আমির মাদবরের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা ওই বাসার লোকজনকে পিটিয়ে তাদের বের করে আনেন। এক পর্যায়ে বশির আহমেদের বাসায় ঢুকে ভাংচুর করে ঘরে তালা লাগিয়ে চাবি আমির মাদবর নিয়ে যায়। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিন আহমেদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

এরপর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান লিটন, কেরানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য রিপন, আমির মাদবর, পুলিশ এবং প্রভাবশালী মেম্বারের মামাতো ভাই হাবিবুর রহমান হাবিব এসে ওই পরিবারের সাথে সমঝোতায় যেতে বলেন। পরে নির্যাতিত সাংবাদিক পরিবারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন। দুই দিন পরে শাহীন চেয়ারম্যানের নির্দেশে আমির মাদবরের ছেলে দিদার এসে ঘরের চাবি দিয়ে যান।

এ ঘটনায় কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করতে গেলে ওসি ফেরদৌস হোসেন মামলা না নিয়ে সমঝোতায় যেতে বলেন।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!