• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
রায় ফাঁসের মামলা

সাকা চৌধুরীর স্ত্রী-ছেলেকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ


আদালত প্রতিবেদক নভেম্বর ২২, ২০১৬, ০৬:০০ পিএম
সাকা চৌধুরীর স্ত্রী-ছেলেকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায় ফাঁসের মামলায় খালাস পাওয়া তার স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী ও ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে বিচারিক আদালতে দেয়া খালাসের রায় বাতিল করে কেন তাদের সুবিধাজনক সাজা দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। 

এছাড়া আদেশের কপি পাওয়ার ৬ সপ্তাহের মধ্যে ফারহাত ও তার ছেলে হুম্মামকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য এক আসামির আপিল শুনানিকালে মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের দ্বৈত বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন।

আদালতে মাহবুবুল হাসানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাজ্জাদ আলী চৌধুরী। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জহিরুল হক ও সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. শহিদুল ইসলাম খান।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর এই মামলায় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর যুদ্ধাপরাধের স্ত্রী ও ছেলেকে খালাস দিয়ে আইনজীবীসহ পাঁচজনকে কারাদণ্ড দেন বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম শামসুল আলম। এর মধ্যে ট্রাইব্যুনালে সাকা চৌধুরীর আইনজীবী ফখরুল ইসলামকে ১০ বছরের কারাদণ্ড, সেই সঙ্গে এক কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।

আর সাকা চৌধুরীর ম্যানেজার মাহবুবুল আহসান, ফখরুলের সহকারী মেহেদী হাসান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কর্মচারী নয়ন আলী ও ফারুক হোসেনকে দেওয়া হয়েছে ৭ বছরের কারাদণ্ড। পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। তা না দিলে আরও এক মাস জেলে কাটাতে হবে তাদের।   

জামিনে থাকা সাকার স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত হন। আর তার ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে পলাতক দেখিয়েই আদালত রায় ঘোষণা করে, যদিও পরিবারের দাবি, তাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী গত অগাস্টের শুরুতে তুলে নিয়ে গেছে।  

সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকায় ২০১৫ সালের নভেম্বরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সালাউদ্দিন কাদেরের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ মামলার রায় হয়েছিল ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর।

ট্রাইব্যুনালের রায়ের দিন সকালেই তার স্ত্রী, পরিবারের সদস্য ও আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। তারা রায়ের ‘খসড়া কপি’ও সংবাদকর্মীদেরও দেখান। তারা আদালতের রায় নিয়ে কটাক্ষও করেন।

রায় ঘোষণার পরদিন ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন নিবন্ধক (রেজিস্ট্রার) এ কে এম নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় একটি জিডি করেন। পরে ২০১৩ সালের ৪ অক্টোবর ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান শাহবাগ থানায় মামলা করেন।

২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট ডিবির পরিদর্শক মো. শাহজাহান এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন, যাতে রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২৫ জনকে সাক্ষী করা হয়। সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সাইবার ট্রাইব্যুনালে এ মামলার বিচার শুরু হয়; সাক্ষ্য শুরু হয় ২৮ মার্চ। বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে তাদের বিরুদ্ধে চলতি বছর ১৫ সেপ্টেম্বর রায় দেয়া হয়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি

Wordbridge School
Link copied!