• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সাজা কমলো নাজমুল হুদার, আত্মসমপর্নের নির্দেশ


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ৮, ২০১৭, ০৫:৩৯ পিএম
সাজা কমলো নাজমুল হুদার, আত্মসমপর্নের নির্দেশ

ঢাকা: ঘুষ নেয়ার মামলায় ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে বিচারিক আদালতের দেয়া ৭ বছর সাজা কমিয়ে ৪ বছর কারাদণ্ডের সাজা প্রদান করেছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রায় পাওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

তার স্ত্রী সিগমা হুদাকে এ মামলায় তিন বছরের দণ্ড দিয়েছিল বিচারিক আদালত। তার মধ্যে যে পরিমাণ সাজা তিনি খেটেছেন, তাই শাস্তি হিসেবে গণ্য করা হবে। হুদা দম্পতির আপিলের ওপর পুনঃশুনানি শেষে বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাই কোর্ট বেঞ্চ বুধবার(৮ নভেম্বর) এই রায় দেয়।

এর আগে হাই কোর্টের আরেকটি বেঞ্চ নাজমুল ও সিগমাকে খালাস দিলেও আপিল বিভাগ ওই রায় বাতিল করে হাই কোর্টে পুনঃশুনানিতে পাঠায়। এই রায়ের অনুলিপি যেদিন বিচারিক আদালতে পৌঁছাবে সেদিন থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে নাজমুল হুদাকে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

জজ আদালত এ মামলায় নাজমুল হুদাকে আড়াই কোটি টাকা জরিমানা করেছিল। হাই কোর্টের রায়ে সে বিষয়ে কিছু বলা না থাকায়, সেই জরিমানা বহাল থাকছে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। 

বর্তমানে নতুন দল বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট অ্যালায়েন্সের (বিএনএ) সভাপতি ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা হাই কোর্টে নিজেই শুনানি করেছিলেন। তবে বুধবার রায়ের সময় তিনি আদালতে ছিলেন না। সিগমা হুদার পক্ষে এদিন আদালতে ছিলেন তার আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউ সি। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশির আহমেদ।

২০০৭ সালের ২১ মার্চ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম ধানমণ্ডি থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘খবরের অন্তরালে’র জন্য মীর জাহের হোসেন নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেন নাজমুল হুদা ও তার স্ত্রী সিগমা হুদা।

২০০৭ সালের ২৭ অগাস্ট বিশেষ জজ আদালতে এই মামলায় নাজমুল হুদাকে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং আড়াই কোটি টাকা জরিমানা করে। পাশাপাশি তার স্ত্রী সিগমা হুদাকে তিন বছরের দণ্ড দেয়।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে নাজমুল হুদা ও সিগমা হুদা আপিল করলে ২০১১ সালের ২০ মার্চ হাই কোর্ট তাদের খালাস দেয়।

রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে গেলে উভয় আবেদনের শুনানি করে সর্বোচ্চ আদালত ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর হাই কোর্টের রায় বাতিল করে পুনঃশুনানির নির্দেশ দেয়।

সোনালীনিউজ/আতা

Wordbridge School
Link copied!