নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলার প্রধান আসামি র্যাব-১১ এর সাবেক কমান্ডার ও তিন কর্মকর্তাসহ মোট ২৬ জনের মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। নিয়মানুযায়ী নিম্ন আদালতের মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য হাইকোর্টের অনুমতি নিতে হয় যা ডেথ রেফারেন্স নামে পরিচিত। সেই ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছানো হয়েছে।
রোববার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ আদালত থেকে এই ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়।
সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার সাব্বির ফয়েজ এই অনুলিপি পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘নারায়ণগঞ্জ থেকে হাতে হাতে এই কপি এসেছে।’
রীতি অনুযায়ী রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে পৌঁছার পর সব নথিপত্র নিয়ে পেপার বুক তৈরি হবে। এরপর তা শুনানির জন্য তোলা হবে।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাত খুন মামলার রায়ের পর সাংবাদিকদেরকে জানিয়েছেন, এই মামলার দ্রুত শুনানির উদ্যোগ নেবে রাষ্ট্রপক্ষ।
এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি ৭ খুন মামলায় আসামিদের মৃত্যু দেন আদালত। রায়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেন, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১১-এর চাকরিচ্যুত অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, চাকরিচ্যুত কমান্ডার এম এম রানা, চাকরিচ্যুত মেজর আরিফসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মামলার বাকি নয় আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সাত খুনের দুটি মামলার অন্য আসামিরা হলেন—র্যাব সদস্য উপপরিদর্শক (এসআই) পুর্ণেন্দু বালা, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) বজলুর রহমান ও আবুল কালাম আজাদ, হাবিলদার এমদাদুল হক ও নাসির উদ্দিন, কনস্টেবল শিহাব উদ্দিন ও বাবুল হাসান, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক হীরা মিয়া, বেলাল হোসেন, ল্যান্স করপোরাল রুহুল আমিন, সিপাহি আবু তৈয়ব, নুরুজ্জামান ও আসাদুজ্জামান নূর এবং নূর হোসেনের সহযোগী মোর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দীপু, রহম আলী ও আবুল বাশার।
এ ছাড়া পলাতক রয়েছেন—নূর হোসেনের সহযোগী সেলিম ও শাহজাহান, সানাউল্লাহ সানা, জামাল উদ্দিন, র্যাবের করপোরাল লতিফুর রহমান, সৈনিক মহিউদ্দিন মুন্সি, আল আমিন শরিফ, আব্দুল আলী, তাজুল ইসলাম, সার্জেন্ট এনামুল কবির, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কামাল হোসেন, কনস্টেবল হাবিবুর রহমান।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ
আপনার মতামত লিখুন :