• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সাত খুন মামলায় আপিল শুনানি সোমবার


নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ২৩, ২০১৭, ০৫:৪০ পিএম
সাত খুন মামলায় আপিল শুনানি সোমবার

ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলায় আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখার আবেদন জানিয়েছেন। বুধবার বিচারপতি ভবানী প্রসাদসিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন।

আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ড ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। তাই মামলার রায়ের মধ্য দিয়ে যেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি মানুষের আস্থা ফিরে আসে এরকম রায় দেয়া দরকার বলে আমি মনে করি।

তিনি আদালতে আরো বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের নাটের গুরু নূর হোসেন। তাই তার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হতে হবে। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের রায়ে দৃষ্টান্তমূলক সাজা প্রত্যাশা করেন। পরে এই মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামীকাল সোমবার (২৪ জুলাই) ধার্য করা হয়।

রোববার আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম যুক্তি উপাস্থাপন শুরু করেন। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ।

এর আগে গত ২২ মে সাত খুন মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শুরু হয়।

চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নূর হোসেনসহ আসামিদের নিয়মিত ও জেল আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট।

গত ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নূর হোসেন, তারেক সাঈদসহ আসামিরা খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল দায়ের করেন।

গত ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুনের মামলায় সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাবের প্রাক্তন কর্মকর্তা লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদসহ ২৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। বাকি নয় আসামির সবাইকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। তিনদিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে একে একে ভেসে ওঠে ছয়টি লাশ। পরদিন মেলে আরেকটি লাশ। নিহত অন্যরা হলেন- নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহীম।

ঘটনার একদিন পর কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা (পরে বহিষ্কৃত) নূর হোসেনসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!