• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সাত খুনের দুই বছর আজ : এখনো আতঙ্কে নিহতদের পরিবার


নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ২৭, ২০১৬, ০১:১৭ পিএম
সাত খুনের দুই বছর আজ : এখনো আতঙ্কে নিহতদের পরিবার

সোনালীনিউজ রিপোর্ট

নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনার দুই বছর আজ বুধবার। গত ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়েছে, এ ঘটনায় হওয়া মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ। বাদিপক্ষের অভিযোগ, মামলার সঙ্গে জড়িত প্রভাবশালীরা সাক্ষ্য দিতে বাধা দিচ্ছে।

দুই বছর পেরুলেও এখনো বিচার চূড়ান্ত হয়নি খুনিদের। সাক্ষ্য চলছে। প্রধান আসামি নূর হোসেন কারাগারে। কিন্তু দাপট কমেনি তার লোকদের। সিদ্ধিরগঞ্জে এখনো তারই প্রভাব। ফলে আতঙ্কে আছে নিহতদের পরিবার। শঙ্কা, নিরাপত্তাহীনতা ও অসহায়ত্বের মধ্য দিয়ে দিন কাটে নারায়ণগঞ্জের সাত নিহতের পরিবারের।

আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নূর হোসেন ও অন্য আসামিদের নানা আচরণে ভীত হয়ে পড়েছেন মামলার সাক্ষীরা। ভয়ের আরেক কারণ সাত খুনের ঘটনায় আসামিপক্ষে আইনি লড়াই চালাচ্ছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের অনেক শীর্ষ নেতা, যারা পেশায় আইনজীবী। পাশাপাশি প্রতিনিয়ত নানা ধরনের হুমকিও পাচ্ছেন নিহতদের পরিবারের সদস্যরা।

মামলার অগ্রগতি নিয়ে সন্তোষ জানিয়েছেন আসামীপক্ষ। তবে, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর দাবি, চলতি বছরেই নিষ্পত্তি হবে মামলার বিচারকাজ।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল। নারায়ণগঞ্জের লিংক রোড থেকে অপহরণ করা হয় সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে। 

তিন দিন পর এই সাত ব্যক্তির মরদেহ ভেসে ওঠে শীতলক্ষ্যা নদীর শান্তির চর এলাকায়। রচিত হয় ‘নারায়ণগঞ্জের সাত খুন’ নামের কালো অধ্যায়ের।

সাত খুনের পেরিয়েছে দুই বছর। ঘটনার পর, নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বাদী হয়ে একটি ও আইনজীবী চন্দন সরকারের পক্ষ থেকে বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল ৩৫ জনকে আসামী করে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ। পুলিশের দাবি, সুষ্ঠু তদন্ত শেষে দৃষ্টান্তুমূলক শাস্তি হবে জড়িতদের।

তবে, মামলার বিচার কার্যক্রমে শঙ্কিত নিহত প্যানেল মেয়র নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি। বলেন, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে সাক্ষ্যগ্রহণ।

এদিকে, মামলার অগ্রগতি নিয়ে সন্তোষ জানিয়েছেন আসামীপক্ষের আইনজীবীরা।

সোনালীনিউজ/আমা

Wordbridge School
Link copied!