জবি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে কথার বাক-বিতণ্ডার জের ধরে হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এক সাধারণ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করেছে প্রথম বর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম গ্রুপের কয়েকজন কর্মী। আহত শিক্ষার্থী হলেন বিশ্ববিদ্যালয় ৯ম ব্যাচের শিক্ষার্থী সামি। রোববার (৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে জবির চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সামির সাথে ছাত্রলীগের তরিকুল গ্রুপের কিছু সংখ্যক কর্মীর সিনিয়র জুনিয়র নিয়ে বাক-বিতণ্ডা হয়। তারই জের ধরে বিকেলে ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারের কাছে সামির ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ কর্মীরা। এ সময় চর, লাথি ও ঘুষিতে সামির (চতুর্থ বর্ষ) নাক ফেটে রক্ত বের হতে থাকে। পরে আহত সামিকে চিকিৎসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকট সুমনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে ঘটনায় আহত হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সামি (২২) বলেন, ‘আমি আজ বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারের সামনে দাঁড়িয়ে আমার কয়েকজন বন্ধুদের সাথে কথা বলছিলাম, হঠাৎ প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান (১৯) ও তার কয়েকজন দলবল মিলে আমার ওপর অতর্কিত হামলা করে। ফলে আমার শরীরের বেশ কিছু স্থানে আঘাত লাগে এবং আমার নাক ফেটে রক্ত বের হয়।
এ বিষয়ে জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘আজ বিকেল তিনটা পর্যন্ত জবি শাখা ছাত্রলীগের পরিচিতি সভা ছিল। সেটা নিয়ে অনেক ব্যস্ত ছিলাম এবং এ ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানি না।’
প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসানকে তিনি চিনেন কি না? এ বিষয়ে তরিকুল ইসলসাম বলেন, ‘ক্যাম্পাসে মেহেদী হাসান নামে অনেক শিক্ষার্থী আছে তাদের সবাইকে আমার পক্ষে চেনা সম্ভব নয় এবং সে ছাত্রলীগের কেউ না।’
এ বিষয়ে জবি প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড.নূর মোহাম্মদ বলেন, ক্যাম্পসে মারামারির একটি ঘটনা ঘটছে বলে আমি অভিহিত আছি তবে এ বিষয়ে কোন অভিযোগ আমার কাছে এখনও আসেনি।’
সোনালীনিউজ/জেএ
আপনার মতামত লিখুন :