• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সাফাতের দেহরক্ষী ৩ ও গাড়িচালক ৪ দিনের রিমান্ডে


আদালত প্রতিবেদক মে ১৬, ২০১৭, ০৪:০৩ পিএম
সাফাতের দেহরক্ষী ৩ ও গাড়িচালক ৪ দিনের রিমান্ডে

ঢাকা: রাজধানীর বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের দেহরক্ষী রহমত আলী চার ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম লস্কর সোহেল রানা তাদের এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে আদালতে তাঁদের হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ড চায় পুলিশ।

সোমবার (১৫ মে) গুলশান থেকে সাফাতের দেহরক্ষী রহমতকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। অন্যদিকে পুরান ঢাকার নবাবপুর রোডের একটি হোটেল থেকে তার গাড়িচালক বিল্লালকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১০।

সাফাতের সঙ্গে এই দুজনও ধর্ষণের ওই মামলার আসামি। দুই তরুণী অভিযোগ করেছিল, গত ২৮ মার্চ বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের সময় ভিডিও ধারণ করেছিলেন বিল্লাল।

এর আগে, মামলার প্রধান আসামি আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত ও তার বন্ধুকে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  তবে আসামিদের মধ্যে সাফাতের বন্ধু নাঈম আশরাফ (আবু হাসান হালিম) এখনও পলাতক রয়েছেন।

উল্লেখ্য, ধর্ষণের অভিযোগে শনিবার (৬ মে) ওই তরুণীরা বনানী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলো- সাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ, সাদমান সফিক, ড্রাইভার বিল্লাল ও সাফাত আহমেদের বডিগার্ড রহমত।

জন্মদিনের দাওয়াত দিয়ে গত ২৮ মার্চ সাফাত আহমেদ তার গাড়ি পাঠিয়ে ড্রাইভার ও বডিগার্ডের মাধ্যমে তরুণীদের বাসা থেকে বনানীর রেইনট্রি হোটেলের ছাদে নিয়ে যাওয়া হয়। এক পর্যায়ে তাদের দু’জনকে একটি কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। এ সময় সাফায়াতের নির্দেশে তার ড্রাইভার বিল্লাল ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করে। পরবর্তীতে সাফাত তার দেহরক্ষীকে তরুণীদের বাসায় পাঠিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে ও ভয়ভীতি দেখায়। তাদের হুমকি ও লোকলজ্জার ভয়ে এক পর্যায়ে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন তারা। এ কারণে মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেএ

Wordbridge School
Link copied!