ঢাকা: সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ত্রয়োদশ আসর মাঠে গড়াচ্ছে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে। তৃতীয়বারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপ খ্যাত এই ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজক হয়েছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিতব্য এই আঞ্চলিক প্রতিযোগিতার ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে বুধবার (১৮ এপ্রিল)। গ্রুপ পর্বে প্রতিপক্ষ হিসাবে নেপাল ও পাকিস্তানের পাশাপাশি ভুটানকেও পেয়েছে লাল সবুজের জার্সিধারীরা। ২০১৬’র ১০ অক্টোবর এই ভুটানের কাছে হেরেই বিপর্যয় নেমে আসে বাংলাদেশের ফুটবলে।
সেই থেকে যেন বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের কাছে এক জুজুর নাম ভুটান। যদিও শক্তিশালী ও ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ভারত বাংলাদেশের গ্রুপে নেই। তবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবলের বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় নেপাল বা ভুটানের মতো দলগুলোও শক্তিশালী প্রতিপক্ষ।
২০০৩ সালে সাফ গোল্ডকাপ নামে প্রথমবার অনুষ্ঠিত এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বার আয়োজক হয়েও সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেয় লাল সবুজের দল। পনের বছর পর আবারও আয়োজক বাংলাদেশ। এবার ঘরের মাঠে খেলা বলে আশাবাদী স্বাগতিকরা। এ প্রসঙ্গে বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন বলেন, কঠিন বা সহজ গ্রুপ বলতে কিছু নেই, ‘চ্যাম্পিয়ন হতে হলে আপনাকে শক্তিশালী এবং সহজ প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলতেই হবে। আমার প্রত্যাশা দল এবার ফাইনালে খেলবে।
বাফুফে সভাপতি আরও বলেন, এবার আমাদের দল ভালোভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে। কাতার, থাইল্যান্ডে প্রস্তুতির সুযোগ করে দিয়েছি। লাওসে প্রীতি ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দিয়েছি। সামর্থ অনুযায়ী আমরা দিচ্ছি। তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে, বাফুফে শুধু ফুটবলারদের জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছুই করতে পারবে, মাঠে গিয়ে খেলে দিতে পারবে না। এই কাজটা করতে হবে খেলোয়াড়দের।’
বুধবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেল অনুষ্ঠিত ড্র ও সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন কাজী মো. সালাউদ্দিন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাফের সাধারন সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল, বাফুফে সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্সেদী, ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ, বাফুফে সাধারন সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ অন্যান্যরা।
ড্র অনুযায়ী ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গী পাকিস্তান, ভুটান ও নেপাল। ‘বি’ গ্রুপে ভারতের সঙ্গী শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ। উদ্বোধনী দিন ৪ সেপ্টেম্বর ভুটানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সবগুলো ম্যাচ হবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে।
এদিকে টুর্নামেন্টের সূচি চূড়ান্ত হলেও এখনো খেলার সময় চূড়ান্ত হয়নি। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইটের আলো প্রয়োজনের চেয়ে অনেক কম। যেখানে ১২০০ লাক্সের প্রয়োজন, সেখানে আছে ৩০০ লাক্স। সেপ্টেম্বরের আগে ফ্লাডলাইটের কাজ সম্পন্ন না হলে বেকায়দায় পড়তে পারে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। এ প্রসঙ্গে সাফের সভাপতি সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমরা এনএসসিকে দুটি চিঠি দিয়েছি। তারাও বিষয়টি নিয়ে বসেছে। আশা করি আগামী সপ্তাহের মধ্যেই সব কিছু জানতে পারবেন।’
এর আগে দু’বার সাফের আয়োজক হয়েছিল বাংলাশে। ২০০৩ সালে প্রথমবার আয়োজন করেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল লাল সবুজের জার্সিধারীরা। ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বার আয়োজক হলেও সেমিফাইনালে বিদায় ঘন্টা বেজেছিল বাংলাদেশের। এবার তৃতীয়বারে আসবে সাফল্য?
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের ম্যাচ:
তারিখ দল প্রতিপক্ষ
৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ভুটান
৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ পাকিস্লান
৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ নেপাল
সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই
আপনার মতামত লিখুন :