• ঢাকা
  • বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সাবেক স্ত্রীকে নিয়ে বাপ্পার আবেগী স্ট্যাটাস


বিনোদন প্রতিবেদক মে ২৪, ২০১৮, ০৬:১২ পিএম
সাবেক স্ত্রীকে নিয়ে বাপ্পার আবেগী স্ট্যাটাস

ঢাকা : ইতিমধ্যে আংটি বদলের কাজটি সেরে ফেলেছেন বাপ্পা মজুমদার এবং অভিনয়শিল্পী ও উপস্থাপিকা তানিয়া হোসাইন। দুই পরিবারের উপস্থিতিতে ১৬ মে তাদের বাগদান সম্পন্ন হয়। রাজধানীর পশ্চিম পান্থপথে তানিয়ার মায়ের বাসায় আংটি বদলের অনুষ্ঠান হয়।

আংটি বদলের অনুষ্ঠানের পর বাপ্পা তার সাবেক স্ত্রী চাঁদনীকে নিয়ে মুখ খুললেন। ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসের মধ্য দিয়ে বাপ্পা তার অবস্থান পরিষ্কার করেন।

তিনি তার স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘অনেক বছর একসঙ্গে থেকে, থাকার চেষ্টা করে অবশেষে হার মানতে হয়েছে আমার আর চাঁদনীর। আমরা পারিনি আমাদের সংসার নিয়ে বাকি জীবন কাটাতে। কোনো অভিযোগ কিংবা অসম্মান চাঁদনীর প্রতি নেই।

এমনকি চাঁদনীরও আমার প্রতি কোনো অসম্মানবোধ আছে বলে মনে করি না। যা হয়েছে তা ভাগ্যের লিখন মনে করি।’ লিখেছেন দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী, সুরকার ও সংগীত পরিচালক বাপ্পা মজুমদার। বৃহস্পতিবার (২৪ মে) দুপুরে বাপ্পা তাঁর ফেসবুকে পেজে এই পোস্ট লেখেন।

ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে বাপ্পা আরও লেখেন, ‘মানুষের জীবনে এমন অনেক কিছু হয়, যা হওয়ার কথা থাকে না। ব্যক্তিগত বিষয়গুলো জীবনের অংশ মনে করে জীবনের সঙ্গেই রেখে দেওয়া ভালো। আমাকে আমার ভক্তরা আমার কাজ দিয়ে চেনেন, আমি আমার কাজ নিয়েই থাকতে চাই, বাঁচতে চাই সবার মাঝে।

কী হবে ব্যক্তিজীবনের গল্প জনে জনে বলে? অন্যের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আমি কখনোই আগ্রহী না যেমন ঠিক, তেমন আমার ব্যক্তিগত জীবনও কারো সঙ্গে খুব একটা শেয়ার করা আমার বৈশিষ্ট্য না। তবে সময়ের কারণে আজ আপনাদের জানাতে হচ্ছে।’

বাপ্পা লিখেছেন, ‘জীবন তার নিজের গতিতে চলে। সময় কারো নিজের ইচ্ছায় চলে না। সময় খুব খেয়ালি। জীবন সময় কখন কাকে কোথায় নিয়ে ফেলে বোঝা মুশকিল।’

বাপ্পা জানান, গত বছর ৯ অক্টোবর চাঁদনীর সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদের আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়, আর শেষ হয় এ বছর ৯ জানুয়ারি। তারও আগে তারা দুজন এক বছরের বেশি সময় আলাদা ছিলেন।

বাগ্‌দত্তা তানিয়াকে নিয়ে ফেসবুকে বাপ্পা মজুমদার লিখেন,‘তানিয়া আমার বন্ধু। দারুণ একজন বন্ধু। তানিয়ার সঙ্গে আমার যোগাযোগ এবং ভালো লাগাও। এর সূত্র ধরেই সম্প্রতি আমি আমার ভাবনা তানিয়াকে জানাই, তানিয়াও তার ভাবনা আমাকে জানায়।

আমরা আমাদের পরিবারের সান্নিধ্য ছাড়া জীবনে চলতে চাই না। তাই দুই পরিবারের সিদ্ধান্তে একান্তই পারিবারিকভাবে আমাদের বাগদান হয়। আগেই বলেছি, ব্যক্তিগত বিষয়গুলো আমি বরাবরই নিজের ভেতর রাখতে চাই।

যেখানে পরিবার যুক্ত, সেখানে আর অপরিষ্কার কোনো চিত্র নেই। বাকিটা পরিবেশ আর পরিস্থিতি। আপনারা প্রার্থনা করবেন। আমার জীবনের সমস্ত ভালো-মন্দ অধ্যায়ে আপনারা সঙ্গে ছিলেন, বাকি জীবনেও থাকবেন—সেই কামনা করি।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!