• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সাম্বার নৃত্যে শুরু হবে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ?


ক্রীড়া ডেস্ক জুন ১৭, ২০১৮, ০১:২৩ পিএম
সাম্বার নৃত্যে শুরু হবে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ?

ঢাকা: প্রথম ম্যাচ থেকেই কী দেখা যাবে ব্রাজিলের বিখ্যাত সাম্বা নৃত্য? যে ফর্মে রয়েছে ব্রাজিল দল তাতে আশা করা যেতেই পারে। বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব থেকে শুরু করে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ সবখানেই আধিপত্য দেখিয়েছে তিতের দল। তাই সবকিছু ঠিক থাকলে রোববার সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে দারুন শুরুর প্রত্যাশাই করছে ব্রাজিল সমর্থকরা। বাংলাদেশ সময় ম্যাচটি শুরু হবে রাত ১২টায়।

এই মুহূর্তে ব্রাজিলের বড় ভরসার নাম নেইমার। তবে শুধু নেইমারের যে সেলেসাওরা নির্ভরশীল তা কিন্তু নয়। দলে আছেন ফিলিপে কুতিনহো, পাওলিনহো, গ্যাব্রিয়েল জেসুস, উইলিয়ান, থিয়াগো সিলভার মতো তারকা।

বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার গুরুতর চোট থেকে ফিরে এসে প্রস্তুতি ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে দুর্দান্ত গোল করে সমর্থকদের আশা দ্বিগুণ করে দিয়েছেন। এবার মাঠে নামার আগে দ্বিতীয় চমকটা দিলেন নেইমার নতুন চুলের ছাঁট দিয়ে। এই নতুন চুলের ছাঁটেই হয়তো রাশিয়া বিশ্বকাপ শুরু করতে চলেছেন নেইমার। তাঁকে ঘিরে সামান্য সংশয় থাকলেও সমর্থকেরা ধরে নিয়েছেন নেইমারকে প্রথম ম্যাচ থেকেই দেখা যাবে।

ব্রাজিলের বিশ্বকাপ অভিযান শুরুর আগে প্রবল উন্মাদনা চলছে গোটা দেশে। ব্রাজিলের বড় শহরগুলোতে সরকারি কর্মীরা চাইলে নেইমারদের ম্যাচে নামার দিন ছুটি নিতে পারেন। বড় বড় রেস্তোরাঁতে ব্রাজিলের সব ম্যাচ দেখার ব্যবস্থা রয়েছে। মালিক ব্রাজিলীয় না হলেও একই ব্যবস্থা থাকছে বড় শহরের বেশ কিছু রেস্তোরাঁয়।

মাস তিনেক আগে ব্রাজিলে চোট সারিয়ে ওঠার সময় নেইমার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভক্তদের জন্য নতুন চুলের ছাঁটের ছবি পোস্ট করেছিলেন। সেই ছাঁটকে বলা হচ্ছিল ‘ডেডলক’। মনে করা হচ্ছিল বিশ্বকাপে সেই চুলের ছাঁটেই তাঁকে দেখা যাবে। কিন্তু সেই ছাঁটের সঙ্গে নতুন চুলের ছাঁটের মিল নেই। এবার তিনি চুলে রংও করেছেন। সোনালি কোঁকড়ানো চুলেই সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে নামার কথা নেইমারের।

গত বিশ্বকাপে জার্মানির বিপক্ষে ১-৭ হারের দুঃস্বপ্ন ভুলে চার বছর পরে রাশিয়া বিশ্বকাপে ব্রাজিলকে কলঙ্কমুক্ত করবেন নেইমার, এমন আশায় বুক বেধেঁ আছেন ভক্তরা। তার একটা কারণ বিশ্বকাপে সেরা তারকারা যে বয়সে জ্বলে উঠেছেন, ক্যারিয়ারের ঠিক সেই জায়গাতেই আছেন এখন ২৬ বছর বয়সি নেইমার। গত ফেব্রুয়ারিতেই তাঁর ২৬ বছর পূর্ণ হয়েছে।

১৯৮৬ বিশ্বকাপে প্রায় একার হাতে দেশকে জেতানো দিয়েগো মারাডোনার বয়স ছিল ২৬। ১৯৯০ বিশ্বকাপে সালভাতোর স্কিলাচি ২৫ বছর বয়েসেই বিশ্বকাপে সোনার বুট জিতেছিলেন। ১৯৮২ সালে পাওলো রোসি একই কাণ্ড করে দেখান ২৬ বছর বয়েসে। ১৯৯৪ সালে ইতালিকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে দেওয়ার মুখে নিয়ে আসা রবার্তো বাজ্জির বয়স ছিল ২৭। ১৯৯৮ বিশ্বকাপ ফাইনালে যখন জোড়া গোল করে ফ্রান্সকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন তখন জ়িনেদিন জ়িদানের বয়স ছিল ২৬। নেইমার কি পারবেন ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করতে?

সোনালীনিউজ/আরআইবি/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!