• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় ৪৫তম স্বাধীনতা দিবস উদয


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ২৬, ২০১৬, ০৬:০৯ পিএম
সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় ৪৫তম স্বাধীনতা দিবস উদয

সোনালীনিউজ ডেস্ক

সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় ৪৫তম স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। সারাদেশ থেকে আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:

বাগেরহাট : বাগেরহাটে যথাযোগ্য মর্যাদায় ৪৫তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। শনিবার সকালে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যে দিয়ে দিনের শুভ সূচনা হয়। পরে দশানী মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন জেলা প্রশাসন, জেলা আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন। আটটায় বাগেরহাট স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর আলম। শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, পুলিশ, আনসার, বিএনসিসি ও রোভার স্কাউট দলের সদস্যরা মার্চ পাস্টের মাধ্যমে জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ : যথাযোগ্য মর্যাদায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে শনিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হচ্ছে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তপোধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসটির সূচনা হয়। পরে জেলা কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামফলক সম্বলিত স্মৃতিস্তম্ভে জেলা প্রশাসক মো. জাহিদুল ইসলামসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা পুস্পস্তাবক অর্পণ করেন। পরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতিস্তম্ভে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।

সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারি-বেসরকারি ভবনে উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা। এর পর সকাল সাড়ে ৮ টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্টেডিয়ামে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করে।

সকাল সাড়ে ১১টায় স্থানীয় শহীদ সাটু হলে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, যুদ্ধাহত ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন আলাদা ভাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক আলোচনা সভা, র‌্যালি, চিত্রাংকন, দেশাত্মবোধক সঙ্গীত ও রচনা প্রতিযোগিতাসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে।

যশোর : বিজয়স্তম্ভে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদনসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদযাপিত  হচ্ছে মহান স্বাধীনতা দিবস।

শনিবার ভোর ৬টায় শহরের মণিহার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বিজয়স্তম্ভে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীর। এরপর পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও যশোরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এরপর সকাল ৯টায় যশোর শামস-উল-হুদা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় কুচকাওয়াজ ও মনোজ্ঞ ডিসপ্লে।

ঝিনাইদহ : বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ঝিনাইদহে ৪৬তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।  সকাল সাড়ে ৮ টায় ঝিনাইদহের বীর শ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্টেডিয়ামে ২৬ মার্চের অনুষ্ঠানের শুভ উদ্ধোধন করছেন জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম তালুকদার ও পুলিশ সুপার মো. আলতাফ হোসেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুলকার নয়ন, সহকারি কমিশনার (ভূমি) উসমান গনি, নির্বার্হী ম্যাজিস্ট্রেট তাছলিমা খাতুন ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মকবুল হোসেনসহ জেলার বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও সুধী সমাজের নেতারা।

নওগাঁ প্রতিনিধি : নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে নওগাঁয় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসের প্রথম প্রহরে শহরের মুক্তির মোড় কেন্দ্রীয় শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। প্রথমে জেলা প্রশাসক ড. আমিনুর রহমান ও পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক বিপিএম, পিপিএম পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।

এরপর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নওগাঁ-১ আসনের সংসদ সদস্য সাধন চন্দ্র মজুমদার, জেলা পরিষদের প্রশাসক অ্যাডভোকেট একেএম ফজলে রাব্বী বকু প্রমুখ শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

পরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শনিবার সকালে নওগাঁ স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ, সালাম গ্রহণ, ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হয়।

বিকেলে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি জেলা শাখা চত্বরে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও মুক্তির মোড়ে মুক্ত মঞ্চে শিশুদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে।

নরসিংদী : নরসিংদীতে যথাযোগ্য মর্যদায় উদযাপিত হচ্ছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসনে উদ্যোগে সকালে নরসিংদীর মোসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল সাড়ে ৮টায় আনুষ্ঠানিকভাবে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন নরসিংদী জেলা প্রশাসক আবু হেনা মোরশেদ জামান ও পুলিশ সুপার আমেনা বেগম।

এসময় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করছে দিবসটি।

সাতক্ষীরা : যথাযোগ্য মর্যাদায় ও নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে সাতক্ষীরায় স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে শনিবার ভোরে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসটির শুভ সূচনা হয়। এরপর সকাল  ৮টায় জেলা প্রশাসক আবুল কাসেম মো. মহিউদ্দীন ও পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরে পুলিশ, বিএনসিসি ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের সমম্বয়ে দৃষ্টি নন্দন মার্চপাস্ট,শরীর চর্চা প্রদর্শনী ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়া স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি ছাড়াও শহীদ আ. রাজ্জাকের মাজার জিয়ারতসহ শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের মাজার জিয়ারত করা হয়। পৌরসভা দিঘীতে হাঁসধরা ও সাতার প্রতিযোগিতা, উপজেলা অডিটরিয়ামে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

বেলা সাড়ে ১১ টায় সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা,বিকালে স্বাধীনতা দিবস টেনিস টুর্নামেন্ট, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

খাগড়াছড়ি : নানা আয়োজনে মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়িতে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত হচ্ছে। সূর্যদোয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা হয়। এরপর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার রইচ উদ্দিন, স্থানীয় সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মো. মজিদ আলী, প্রেসক্লাব, খাগড়াছড়ি পৌরসভা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন্ন বোর্ড, আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ স্বাধীনতা স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

খুলনা : শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের অঙ্গীকার নিয়ে খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০১৬ উদযাপিত হয়েছে।

সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে গল্লামারী শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি শুরু করা হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে ৩১ বার তোপধ্বনি করা হয়। সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।  দিবসটি উপলক্ষে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকা ও রং বেরঙের পতাকা দিয়ে সজ্জিত করা হয়।

সকাল ৮টায় খুলনা জেলা স্কুল মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।  জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ। পরে সেখানে বিভিন্ন বাহিনী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ, কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে ও শরীরচর্চা প্রদর্শন করা হয়। সকাল ১১টা থেকে মহানগরীর সিনেমা হলসমূহে ও দৌলতপুর শহীদ মিনারসহ বিভিন্ন উন্মুক্ত স্থানে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ও দুর্নীতি বিরোধী তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা  বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ।

খুলনাস্থ বিআইডব্লিউটিএ রকেটঘাটে বেলা ২টা থেকে নৌ-বাহিনীর জাহাজ জনসাধারণের দর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট ভবনসমূহে আলোকসজ্জা করা হয়।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!