• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সালমান শাহ মৃত্যুর পর ডন কখনো দেখা করেনি


বিনোদন ডেস্ক আগস্ট ৯, ২০১৭, ০৩:২১ পিএম
সালমান শাহ মৃত্যুর পর ডন কখনো দেখা করেনি

ঢাকা: ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান নব্বই দশকের সফল নায়ক সালমান শাহ্। বাংলা সিনেমার তুমুল জনপ্রিয় এ নায়ক আত্মহত্যা করেছিলেন নাকি তাকে খুন করা হয়েছিল- এ প্রশ্ন থামেনি এখনও। মৃত্যুর পর বাবা কমরউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা দায়ের করেছিলেন।

এরপর থানা-পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, সিআইডি, র‍্যাব একে একে মামলাটির তদন্ত করে। মাঝখানে ১৫ বছর ধরে চলেছে বিচার বিভাগীয় তদন্তও। সব কটি তদন্ত প্রতিবেদনেই এটিকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সর্বশেষ তদন্তভার দেওয়া হয়েছে পুলিশের নবগঠিত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)।

এদিকে সম্প্রতি এ মামলার অন্যতম আসামি আমেরিকা প্রবাসী বাবেয়া সুলতানা রুবি একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেন ফেসবুকে। সেখানে তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন আত্মহত্যা নয়, খুন হয়েছিলেন সালমান শাহ্। আসামি হয়েও রুবির এমন চাঞ্চল্যকর বার্তায় শুরু হয়েছে তোলপাড়। টানা একুশ বছর পর কেন এমন বার্তা দিলেন রুবি? এর কতটাইবা সত্যি- প্রশ্ন উঠছে এসব নিয়েও।

এদিকে ১৯৯৬ সালে ছেলে তারকা অভিনেতা সালমান শাহ্’র রহস্যজনক মৃত্যুর পর থেকেই সত্য জানতে উদগ্রীব হয়ে আছেন তার মা নীলা চৌধুরী। থানা  পুলিশ আইন আদালতেই বেশীর ভাগ দিন কাটছে তার। কিন্তু এখন পর্যন্ত সালমান খুনের কোনো কুলকিনারা খুঁজে পাননি তিনি।

আলোচিত নারী রাবেয়া সুলতানা রুবির মতো চলচ্চিত্রের খল অভিনেতা ডনকেও সালমানের খুনী বলে টিভি অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন নীলা চৌধুরী। ডনের প্রসঙ্গে নীলা চৌধুরী বলেন, সালমান মরার আগে বারবার বলেছে আমি ইনসিকিউরড। আমাকে নিরাপত্তা দেয়া হোক। এবং সে সিকিউরিটির জন্য ডনকে রেখেছিলো বডিগার্ড হিসেবে। ডনের কাছে পিস্তল ছিলো। এবং যে রাত্রে সালমান মারা যায়, সেইরাত্রে ঘরে নাকি ফায়ারিং, ক্রস ফায়ারিংয়ের শব্দ শোনা গিয়েছিলো। সালমানের ফ্লাটের বারো তলা থেকে সেসময় লোকজন সেটা বলেছিলো, কিন্তু তাদেরকেও হত্যার হুমকি দেয়ায় পরে তারা স্বাক্ষী দেয়নি।

ডনের সম্পর্কে এই অনুষ্ঠানে চিত্রনায়ক সালমানের মা আরো বলেন, ইমন (সালমান) ডনকে নিয়ে আসে। সে খুবই সাধারণ একটা ছেলে ছিলো। নায়ক টায়ক অভিনেতা সে ছিলো না। ইমনের বডি মেসেজ করতো। সে আসলে বডি মাসাজার। হিরো টিরো কিছু না। সালমান অকে নিয়ে নিছিলো, বন্ধু বলতো। কিন্তু আসলেতো বন্ধু না। ইমনের কাপড় চোপড় পরতো। অর খাইতো, অর পরতো। ডনতো একটা গরীবের ছেলে। ইমন মারা যাওয়ার পরে এরা কোনোদিন আমার সঙ্গে দেখা করেনি।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!