• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সালমান শাহ হত্যার আসামি আজিজ মুহাম্মদ ভাই কোথায়?


ফেসবুক থেকে ডেস্ক আগস্ট ১৪, ২০১৭, ০৯:৪৩ এএম
সালমান শাহ হত্যার আসামি আজিজ মুহাম্মদ ভাই কোথায়?

ঢাকা: সালমান শাহ হত্যার সবচেয়ে সন্দেহভাজন আসামি এই আজিজ মুহাম্মদ ভাই। তিনি সালমানের মৃত্যুর সময় থেকেই একজন ধনকুবের নামে পরিচিত আবার অনেকে তাকে মাফিয়া ডনও বলে থাকেন। শুরুতে জানা যাক, আজিজ মুহাম্মদের নামের সাথে ভাই এলো কোথেকে। এটা ‘ডন’ জাতীয় ভাই নয়, আসলে উনি একজন বাহাইয়ান অর্থাৎ ‘বাহাই’ নামক এক সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্ত। সম্ভবত তার পিতাও বাহাইয়ান ছিলেন। সেই থেকে নামের সাথে বাহাই যা ডাকতে ডাকতে সংক্ষেপে ভাইতে পরিণত হয়। বাংলাদেশে বাহাই ধর্মের ১০ হাজারের মতন অনুসারী আছে বলে শুনেছি । এখন কথা হচ্ছে - সালমান শাহের মৃত্যুর সাথে আজিজ মুহাম্মদ ভাই সম্পর্ক কোথায় ? 

এই আজিজ ভাই একজন বড়মাপের প্রযোজক ছিলেন যার ফলে সালমান শাহের পরিবারের সাথে তার সখ্যতা ছিল । জানা যায় - সালমান শাহ তার মৃত্যুর এক সপ্তাহ আগে এক পার্টিতে তার স্ত্রী সামিরাকে কিস করার জন্য এই আজিজ ভাইকে প্রকাশ্যে থাপ্পড় মারেন।  সেই পার্টিতে শাবনুরও তার মা-সহ উপস্থিত ছিল। 

সালমান শাহকে হত্যা করা হতে পারে এমন সন্দেহ যখন থেকে তৈরি হয় তখন থেকে এই চড় মারার বিষয়টা সামনে চলে আসে। তাছাড়া সালমান শাহ এর মা অভিযোগও করেছেন এই আজিজের লোকেরা সালমান হত্যাকাণ্ড বিচারের সময় তাকে ও তার ছোটছেলেকে মারার চেষ্টা করেছিল, যার ফলে তিনি লন্ডনে চলে যান ।

সালমান হত্যা মামলায় আজিজ মুহাম্মদ ভাইকে দুবার গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। হত্যার উপযুক্ত কোন প্রমাণ না পাওয়ায় তাকে ছেড়ে দিতে হয়। সালমান ভক্তদের মতে, মিডিয়ার পীড়াপীড়িতে সবই লোক দেখানো ব্যাপার সেপার! আজিজ সব কিছু আগে থেকেই ঠিকঠাক করে রেখেছিলেন। তবে এই আজিজ ছাড়াই সালমানের আরও শত্রু অবশ্য ছিল। যদি তা হত্যাকাণ্ড হয়েও থাকে, এমনও হতে পারে এটা তার সকল শত্রুর মিলিত পরিকল্পনা- এমনটাও অনেকে ধারনা করেন।

এই আজিজ মুহাম্মদ ভাই একজন বড় শিল্পপতি। অলিম্পিক ব্যাটারী, অলিম্পিক বলপেন, এমবি ফার্মাসিটিউক্যাল, এমবি ফিল্ম, টিপ বিস্কুট, এনার্জি বিস্কুট এগুলোর মালিক তিনি । স্বপরিবারে তিনি এখন ব্যাঙ্ককে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। আজিজ মুহাম্মদ ভাই এখন থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।

সালমান শাহ হত্যার প্রায় সব আসামীই বিদেশে স্যটেল হয়ে গিয়েছেন, কাল সালমান হত্যার তদন্তপ্রাপ্ত পিবিআই অফিসারের এক সাক্ষাতকারে দেখতে পেলাম- তিনিও এটাকে সন্দেহজনকভাবে দেখছেন ।

আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের বিরুদ্ধে একজন পত্রিকা সম্পাদককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার ১৪-১৫ বছরের কন্যাকে উঠিয়ে নেয়ার অভিযোগ আছে। আর ওই সম্পাদকের মৃত্যুকে হার্ট অ্যাটাক বলে চালিয়ে দেয়ারও অভিযোগ আছে ।

আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের পরিবারও স্বনামধন্য ধনী পরিবার। তার পরিবারের অনেকের বিরুদ্ধেও ভয়াবহ সব অপরাধে অভিযোগ আছে। বেশ কয়েকবছর আগে তারই আপন ভাগিনা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইয়াবা মজুদসহ ধরা পড়েন এবং ৯০ বছরের সাজা পান। অভিনেত্রী দিতির স্বামী এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা সোহেল চৌধুরীকে ঢাকা ক্লাবে হত্যা করা হয় তার ভাইয়ের প্রত্যক্ষ পরিকল্পনা ও উপস্থিতিতে। 

জানা যায়, এই হত্যার মূলে ছিল তখনকার রমরমা ডিশ ব্যবসা। যা সোহেল চৌধুরীর পরিবারের এক চেটিয়া অধীনে ছিল। এই ডিশ ব্যবসা আজিজের পরিবার দখল করে নিতে চেয়েছিল। তথ্যসূত্র: ফেসবুক ও ইন্টারনেট

সোনালীনিউজ/বিএইচ
 

Wordbridge School
Link copied!