• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সিইসি সংলাপ নাটক না করলেই পারতেন: রিজভী


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ৭, ২০১৭, ১০:৪১ পিএম
সিইসি সংলাপ নাটক না করলেই পারতেন: রিজভী

ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সংলাপের নামে জাতির সাথে তামাশা করছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সোমবার(৭ আগস্ট) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাথে সংলাপে অংশ নিয়ে সুশীল সমাজের প্রায় ৯০ ভাগই যে বক্তব্য দিয়েছেন তা নিয়ে সিইসি বললেন, শাসনতন্ত্র ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী সুশীল সমাজের সুপারিশ যতটুকু গ্রহণ করার ততটুক ধরা হবে। প্রচলিত আইন ও শাসনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী তো অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।

আপনি সংলাপের নামে যা করছেন, সেটা দেশের মানুষ তামাশা বলে ধরে নেবে। এই নাটক না করলেই পারতেন। সেইসাথে পুরো আগস্ট মাসে বিএনপিকে কোনো কর্মসূচি করতে না দেয়ার অভিযোগ করেন রিজভী।

দুপুরে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে সংগঠনের সাবেক নেতা মরহুম মুন্সি জামাল উদ্দিন আহমেদের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হয়। 

প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে সংলাপ শুরু করে ইসি। আগামী ১৬ ও ১৭ আগস্ট সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সাথে এবং আগামী ২৪ আগস্ট থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপ শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।

সিইসির উদ্দেশে রিজভী বলেন, নব্বইভাগ বুদ্ধিজীবীদের সুপারিশ অগ্রাহ্য করার জন্য, তাদেরকে অপমানিত করার জন্য আপনি তাদের সংলাপে ডেকেছিলেন? যদি প্রচলিত আইনেই নির্বাচন হয়, তাহলে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না। আপনি তো সেই অঙ্গীকারে আসেননি। আপনি চাকরি করে চলে যাবেন, এটাই হচ্ছে আপনার মূল উদ্দেশ্য। গণতন্ত্র কোথায়? ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষমতা কোথায়? সেটা নিশ্চিত করছেন না। সংলাপের নামে যা করছেন, তা মানুষ তামাশা বলেই ধরে নিবে।

তিনি সিইসির উদ্দেশে বলেন, ভোটাধিকার যেভাবে কেড়ে নিয়েছে, জেলা জেলায় তুফানদের সৃষ্টি করে সেখান থেকে পরিত্রাণ দেয়ার জন্য আপনি আশার বাণী শুনাবেন। সেটি না করে শাসনতন্ত্র ও প্রচলিত আইনের কথা বলছেন।

দলের নেতাকর্মীদের হত্যা, গুমের ঘটনা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আমাদের দলের নেতাকর্মীদের হত্যা, গুম করা হচ্ছে। এ ব্যবস্থা জারি রাখা হয়েছে শুধু একব্যক্তির শাসন ব্যবস্থা প্রলম্বিত করার জন্য। তারা কিছুই মানবে সব কিছুই তাদের দরকার। সবকিছু এক ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে থাকতে হবে।

আগস্ট মাস আওয়ামী লীগ গুম করে নিয়েছেন এমন অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আগস্ট মাস কি আপনরা গুম করে নিয়েছেন? যেমন চৌধূরী আলম, ইলিয়াস আলী, সুমন, হিরু, পারভেজকে গুম করে নিয়েছেন। ১২ মাসের একটি মাস আপনারা গুম করে নিবেন।

এ মাসে আমরা কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারবো না! আমাদের দুই মাসব্যাপী কর্মসূচি রয়েছে। দলের সদস্য নবায়ণ কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হচ্ছে। জেলায় জেলায় আমাদের সিনিয়র নেতারা যাচ্ছেন, সেখান পুলিশ বাধা দিচ্ছে। তারপর পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে আমাদের নেতাকর্মীদের।

রিজভী আরো বলেন, ‘আগস্ট মাসে ভয়াবহ একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। এটা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠন পালন করবে। তার মানে এই নয় যে, অন্য কেউ কোনো কর্মমূচি পালন করতে পারবে না? এটা হচ্ছে বাকশালী মনোবৃত্তি।’ 

স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েলের সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় অন্যানের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, স্বেচ্ছাবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা

Wordbridge School
Link copied!