• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সিউলে আটকে গেল মোদি-জিনপিং বৈঠক


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুন ২৪, ২০১৬, ০৭:২৬ পিএম
সিউলে আটকে গেল মোদি-জিনপিং বৈঠক

সিউল সম্মেলনে পরমাণু সরবরাহকারী আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী বা এনএসজি-তে ভারতের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি চীনের বিরোধিতায় আটকে রয়েছে। আর এ নিয়ে ভারতের জোর তৎপরতাও অব্যাহত রয়েছে। তাসখন্দে মোদি-জিনপিং বৈঠকের বিষয়বস্তুও ছিল এনএসজি। ৪৮ সদস্যের এনএসজি গ্রুপের ৪৭ সদস্য রাষ্ট্রই ভারতের অন্তর্ভুক্তির আবেদন সমর্থন করেছে বলে জানা গেছে। কিন্তু চীনের বিরোধিতায় তা আটকে রয়েছে।

এদিকে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর শীর্ষ বৈঠকের ফাঁকে এনএসজি-কে কেন্দ্র করে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পৃথক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় তাসখন্দে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে জানা গেছে, ভারতের অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব সম্পর্কে চীন যেন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ দৃভিঙ্গী নেয়, প্রেসিডেন্ট জিনপিংকে প্রধানমন্ত্রী মোদি সেই অনুরোধই জানিয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী আর চিনের প্রেসিডেন্ট যে আলাদা করে কথা বলতে পারেন, তা নিয়ে আগে থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে তারা ওই বৈঠকে বসেন।

প্রথমেই প্রেসিডেন্ট জিনপিং প্রধানমন্ত্রী মোদিকে অভিনন্দন জানান, সাংহাই জোটের সদস্যপদ পাওয়ার জন্য। ভারতের অন্তর্ভুক্তি এসসিও-কে আরও শক্তিশালী করবে বলেও চীনা প্রেসিডেন্টের অভিমত। মোদি ধন্যবাদ জানান জিনপিংকে। তার পরই শুরু হয় এনএসজি নিয়ে আলোচনা। এর পর যতক্ষণ দুই নেতার বৈঠক চলেছে, ততক্ষণই এনএসজি-তে ভারতের অন্তর্ভুক্তির ইস্যুই ছিল প্রধান। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর অফিসের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো এসব কথা জানিয়েছে।

মোদি জিনপিংকে বলেন, ‘ভারত এনএসজি-র সদস্য হওয়ার জন্য যে আবেদন জানিয়েছে, চীন তা স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ দৃভিঙ্গী থেকে বিচার করুক।’ অন্য কোনও দেশের প্রেক্ষিতে যেন ভারতের আবেদনের গুরুত্ব বিচার করা না হয়, সে অনুরোধও চীনা প্রেসিডেন্টকে করেন মোদি। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে এনএসজি-র প্লেনারি অধিবেশন শুরু হয়েছে।

মোদি জিনপিংকে আরও বলেন, ‘সিউল বৈঠকে ভারতের সদস্যপদের পক্ষে সমর্থন যে ভাবে বাড়ছে, তাতে চীনও অবদান রাখুক।’ তবে শেষ পর্যন্ত চীন ভারতের আবেদনকে সমর্থন করবে কি না, তা এখনও স্প নয়। তবে চীন এখনই ভারতের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সমর্থন না দিলেও তাসখন্দে মোদি-জিনপিং পৃথক বৈঠককে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ভারতের পররাষ্ট্র দফতর। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছেন, চীন এনএসজি প্রশ্নে কঠোর বিরোধিতার অবস্থান ধরে রাখলে তা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও প্রভাব ফেলতে পারে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!