সিটি নির্বাচনে সেনা চায় বিএনপি

ঢাকা : আসন্ন গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।

রোববার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

আগামী ১৫ মে গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এ সিটি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
কমিশনের এ বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, তারা (ইসি) এই দুই সিটিতে আদৌ সুষ্ঠু নির্বাচন চায় কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বক্তব্যে সরকারি ইচ্ছার প্রতিফলন দেখা যায়। নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি না করে, সরকারি প্রেসক্রিপশনে নির্বাচন করতেই ইসি আগাম মন্তব্য দিলেন কি না, সেই প্রশ্ন রাখেন তিনি।

রিজভী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বর্তমানে সরকারের দলীয় বাহিনীর কাজ করছে। তাদের পক্ষে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ভয়মুক্ত ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। ভোটাররাও তাদের ওপর আস্থাশীল হতে পারবেন না। বিরাজমান পরিস্থিতিতে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ ভোট নিশ্চিত করতে হলে সেনা মোতায়েন অত্যাবশ্যক। অবিলম্বে সিটি করপোরেশন এলাকায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, ইভিএম বাতিল, সেনা মোতায়েন, এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার বন্ধ করে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির জোর দাবি জানান তিনি।

রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা দুই সিটিতে সশস্ত্র মহড়া দিচ্ছে। সন্ত্রাসীদের হাতে হাতে বৈধ অবৈধ অস্ত্রের ছড়াছড়ি। অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দুই সিটিতে সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা মিছিল, মিটিং, সমাবেশ করছে বীরদর্পে।

অন্যদিকে বিএনপি নেতাকর্মীদের সভা-সমাবেশ দূরের কথা বাড়িতে ঘুমাতে পর্যন্ত পারছে না।

তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপির মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী হতে ইচ্ছুক ৩০ নেতার বিরুদ্ধে শতাধিক রাজনৈতিক মামলা। সারাক্ষণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তাড়া। অথচ প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, সব দল না এলে নির্বাচন ভালো হয় না। তাহলে সিইসির দায়িত্ব হচ্ছে যেকোনো নির্বাচনে সব দলকে নিয়ে আসা। এ জন্য সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করা। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমূর আলম খন্দকার, আতাউর রহমান ঢালী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই