• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সিটিসেল কর্মচারীদের নিয়ে বিপাকে কর্তৃপক্ষ


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ২৩, ২০১৬, ১১:৫৩ এএম
সিটিসেল কর্মচারীদের নিয়ে বিপাকে কর্তৃপক্ষ

সরকারের পাওনা পৌনে পাঁচশ কোটি পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় সিটিসেলের তরঙ্গ স্থগিত করে বিটিআরসি। এরপর বিটিআরসির কর্মকর্তারা র‌্যাব-পুলিশ নিয়ে মহাখালীতে সিটিসেলের প্রধান কার্যালয়ে ঢুকে বন্ধের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেন। বার বার সুযোগ দেওয়ার পরও বিটিআরসির পাওনা শোধ না করায় সিটিসেলের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। কার্যক্রম বন্ধ হওয়া মোবাইল অপারেটর সিটিসেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায় কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। 

গত শুক্রবার সকালে গুলশানে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিসে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের বর্তমান অবস্থা এবং সারা দেশে স্থাপিত অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্কের বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তারানা হালিম এ মন্তব্য করেন। তরঙ্গ স্থগিত করার পর সিটিসেলের কর্মচারীদের বকেয়া বেতন-ভাতা আদায়ে কোনো উদ্যেগে নেওয়া হবে কি-না সেবিষয়ে মন্ত্রী জানান, একটি প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব নিয়ম অনুযায়ী চলে। বিটিআরসি শুধু নিয়ন্ত্রকের কাজ করে থাকে। একটি কোম্পানি কোথা থেকে ঋণ গ্রহণ করবে, সেই ঋণ কীভাবে পরিশোধ হবে বা কর্মচারীদের বেতন-ভাতা তারা কীভাবে পরিশোধ করবে- এটা একান্ত সেই কোম্পানির দায়িত্ব। সেই হিসেবে সিটিসেলের কর্মচারী-কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা পরিশোধের দায়-দায়িত্ব সিটিসেলের। এই দায়িত্ব সিটিসেলকেই গ্রহণ করতে হবে। নিয়ন্ত্রক হিসেবে বিটিআরসি তার নির্ধারিত ভূমিকার বাড়তি কিছু করতে পারবে না। 

টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও বিটিআরসির পক্ষ থেকে মানবিক একটা আবেদন থাকবে, যার যে দেনা আছে সিটিসেল যেন তা পরিশোধ করে। সিটিসেলের সুনাম রক্ষার্থে এই সদিচ্ছা থাকা প্রয়োজন। বকেয়া বেতন এবং চাকরি হারালে ক্ষতিপূরণসহ সাত দফা দাবিতে গত আগস্ট মাস থেকে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন সিটিসেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে স্থায়ী সাড়ে চারশ কর্মীসহ মোট ৬৫০ জন কর্মী রয়েছেন। ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশের প্রথম মোবাইল ফোন অপারেটর হিসেবে লাইসেন্স পায় বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড (বিটিএল), পরে মালিকানার হাতবদলে যা বর্তমান সিটিসেলে পরিণত হয়। 

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এ কোম্পানির ৩৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক বিএনপি নেতা মোরশেদ খানের প্যাসিফিক মোটরস লিমিটেড। এছাড়া সিঙ্গাপুরের সিংটেল এশিয়া প্যাসেফিক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এর ৪৫ শতাংশ এবং ফার ইস্ট টেলিকম লিমিটেড ১৭ দশমিক ৫১ শতাংশ শেয়ারের মালিক। সিটিসেল বাংলাদেশের প্রথম মোবাইল কোম্পানী হিসেবে কর্যক্রম শুরু করে। দীর্ঘদিন পর একটি ব্যর্থ প্রতিষ্ঠান হিসেবে সিটিসেল বন্ধ হয়ে যাবার আগে প্রচুর দেনা রয়ে গেছে। এনিয়ে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধের পরও বাংলাদেশে যারা তার কর্ণধার, তারা দায় এড়াতে পারবেন না। অনেকেকেই বলতে শোনা যায়, রিম পদ্ধতির পরিবর্তে সিম পদ্ধতি চালু করলে এবং যেকোন সেট ব্যবহার করার উপযোগী সিম চালু করলে সিটি সেলকে আজ এ অবস্থায় পড়তে হতো না। 

সোনালীনিউজ/ঢাকা
 

Wordbridge School
Link copied!