• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সিদ্ধান্ত মানবেন আইভী, সেনা দাবি বিএনপির


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ৩০, ২০১৬, ১১:০৪ এএম
সিদ্ধান্ত মানবেন আইভী, সেনা দাবি বিএনপির

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) যেকোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী। এদিকে বিএনপির মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান গত সোমবার দুপুরের দিকে শহরের কাঁচাবাজার এলাকায় অনানুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করেন। এছাড়া কর ও ঋণ খেলাপের দায়ে মনোনয়ন বাতিল হওয়া ১৫ প্রার্থী আপিল করেছেন।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর শহীদনগর এলাকায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ গোগনগর ইউনিয়ন কমান্ড শাখায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, নির্বাচন অবাধ করতে কমিশন যেকোনো বাহিনী মোতায়েন করতে পারে, এতে তার কোনো আপত্তি থাকবে না।

তিনি বলেন, তিনি সুষ্ঠু-সুন্দর পরিবেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করছেন। এর জন্য নির্বাচন কমিশন যেকোনো ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারে। প্রয়োজনে তারা সরকারের যেকোনো বাহিনী মোতায়েন করতে পারে। নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নেয় তার সঙ্গে তিনি একমত আছেন। ভোটাররা যাতে উৎসবমুখর পরিবেশে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানান আইভী।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু আছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার অভিযোগ নেই। আইভী জানান, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে ঘরোয়া আলাপ-আলোচনা ও তাদের কাছ থেকে দিকনির্দেশনা নেয়ার উদ্দেশ্যে তিনি এখানে এসেছেন।

মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলে আইভী এলাকার প্রবীণ ব্যক্তিবর্গ ও নারী সমাজের সঙ্গে দেখা করে ঘরোয়া আলাপ-আলোচনা করেন।

এদিকে বিএনপির মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান গত সোমবার দুপুরের দিকে শহরের কাঁচাবাজার এলাকায় অনানুষ্ঠানিক প্রচার চালান। এ সময় সেনা মোতায়েন চেয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নাসিকে এখন পর্যন্ত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি। নারায়ণগঞ্জে অনেক বৈধ অস্ত্র আছে, যা এখনো উদ্ধার করা হয়নি। এসব অস্ত্র, প্রভাব বিস্তার ও ভয়ভীতি দেখানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। তাই নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হলে সেনা মোতায়েন করতে হবে।

প্রসঙ্গত, আগামী ২২ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। ৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে আনুষ্ঠানিক প্রচার। ইতিমধ্যে বিএনপির পক্ষ থেকে এই নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে এক সপ্তাহ আগে সেনাবাহিনী নামানোর দাবি জানিয়ে এসেছে। তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সেনাবাহিনী নামানোর মতো পরিস্থিতি নেই বলে দাবি করা হচ্ছে।

এর আগে সেলিনা হায়াৎ আইভী এই নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন নেই বলে মত প্রকাশ করলেও গতকাল জানালেন, নির্বাচন কমিশন প্রয়োজন বোধ করলে যেকোনো বাহিনী নামাতে পারে। ২০১১ সালের নির্বাচনে অবশ্য বিএনপির পাশাপাশি আইভীও সেনাবাহিনী মোতায়েনের পক্ষে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত শামীম ওসমানের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আইভী বিপুল ভোটে বিজয়ী হন।

মনোনয়ন বাতিল হওয়া সাত প্রার্থীর আপিল : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যাচাই-বাছাইয়ে কর ও ঋণ খেলাপের দায়ে মনোনয়ন বাতিল হওয়া ১৫ প্রার্থীর মধ্যে একজন মেয়র ও একজন সংরক্ষিত নারীসহ সাত প্রার্থী আপিল করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের আপিল বিভাগে তারা এ আপিল করেন বলে রিটার্নিং অফিসার নুরুজ্জামান তালুকদার জানিয়েছেন। আগামী ১ থেকে ৩ ডিসেম্বর আপিলের নিষ্পত্তি করা হবে।

এর আগে গত ২৬ ও ২৭ নভেম্বর দুই দিনব্যাপী যাচাই-বাছাইয়ে ঋণখেলাপি, সিটি করপোরেশনের করখেলাপি, নির্দিষ্ট পরিমাণ ভোটারের স্বাক্ষর না থাকাসহ ত্রুটিপূর্ণ কাগজের জন্য মেয়র পদের একজন, সংরক্ষিত নারী আসনের একজন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদের ১৩ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!